পরম বন্ধু : বিজয় দে
মধ্যবিত্ত পরিবারের সংসার যেমন চলার কথা তেমনি চলছিল।
বাবা বিদেশে মোটামুটি সংসার চলার মত চাকুরী করতো। তাই সংসারের পরিচালনা দায়িত্ব ছিল মায়ের উপরই।
সব সময় যে ভাল যাবে তাও কিন্তু নয়।
কয়েকমাস ধরে পরিবারের আর্থিক অবস্থা বলতে গেলে প্রচন্ড খারাপ।
শখ ছিল ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াবে।
সরকারীতে পড়তেও কপাল লাগে।
সব কপালের দোষ দিলেও হয়না। যাক সেই কথা।
ছেলেকে শখ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে দিল।
প্রতি সেমিস্টারে মোটা অংকের বেতন দিতে কোন সমস্যা হতনা আগে।
সেমিস্টার টাকা দেওয়ার সময় হয়েছে।
কিন্তু এদিকে মা বাবার সেটা মনে নেই।
কিভাবে মনে থাকবে এ অভাবে।
আর ছেলে বললে তো তাদের স্মরণ হবে তাই না।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নোটিশ দিল বেতন দেওয়ার।
কিন্তু পরিবারের এ অবস্থা দেখে সে কিছু বলেনি।
ভাবছিল আরো কিছুদিন যাক তবেই বলবে।
এভাবে অনেকদিন চলে যায়। আর এদিকে বেতন জমা দেওয়ার নিদির্ষ্ট সময় শেষ হয়ে গেছে...