রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ইছাখালীতে বন্ধুর প্রেমিকাকে বিয়ে করে ফেসে গিয়ে বর এখন জেলহাজতে

নিজস্ব প্রতিনিধি :  মীরসরাই উপজেলার ইছাখালীতে বন্ধুর প্রেমিকাকে বিয়ের আসর থেকে উদ্ধার করে পালাতে সাহায্য করতে গিয়ে ফেসে গিয়ে নিজেই বিয়ে করলো এক যুবক। কিন্তু মেয়ের বাবার অভিযোগে বর সাঈদ ( ২০) কে মঙ্গলবার ( ২৩ এপ্রিল) জেল হাজতে পাঠায় আদালত ।
নিকটাত্বীয় ও ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে মীরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের দক্ষিন মঘাদিয়া গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম এর কন্যা রাবেয়া খাতুন মুক্তা ( ১৮) গায়ে হলুদ এর ( ১৪ এপ্রিল) রাতে পালিয়ে যাচ্ছিল পাশের বাড়ির প্রেমিক নোমান এর সাথে।

রাবেয়াকে সিএনজিতে বসিয়ে ঘর থেকে কিছু কাগজপত্র আনতে গেলে নোমান এর বাবা- মা ঘটনা টের পেয়ে আটকে ফেলে তাকে। অবশেষে নোমান বন্ধু সাইদুর রহমান সাঈদ ( ২০) কে বলে চট্টগ্রামের নির্ধারিত ঠিকানায় রাবেয়াকে নিয়ে যেতে। সাঈদ রাবেয়াকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাবার দুদিন পর ও বন্ধু না আসায় রাবেয়াকে সাঈদের মন দেয়া নেয়া হয়ে যায়। রাবেয়া ও প্রেমিকের বন্ধুকেই বিয়ে করতে চায়। অত:পর ১৬ এপ্রিল চট্টগ্রামের জর্জ কোর্টে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে দুজন বিয়ে করে নেয়। এদিকে রাবেয়ার পরিবার খুঁজতে বের হয় মেয়েকে। এমন খবর পেয়ে বর কনে দুজনেই গা ঢাকা দেয়। অবশেষে পাত্রের জনৈক দুলাভাই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদস্যের মাধ্যমেই তাদের মধ্যে আপোষ মিমাংসা বা সমাধান করে দিবে বলে সোমবার (২২ এপ্রিল ) জোরারগঞ্জ থানায় এনে মেয়েকে আলাদা করে পৃথক জবানবন্ধি নিয়ে আদালতে হাজির করে অপহরণ ও ধর্ষন মামলা দিয়ে পরদিন মঙ্গলবার ( ২৩ এপ্রিল) সাঈদকে পাঠায় জেল হাজতে। এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন যেহেতু মেয়ের বাবা অভিযোগ দায়ের করেছে এবং মেয়ে তার পক্ষেই জবানবন্ধি দিয়েছে সেহেতু আদালতই এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করবে। আবার রাবেয়ার বড় ভাই কামরুল হাসান বলেন আমার অবুঝ বোনকে জোর করে ওরা নানান কথা বলিয়েছে। আবার মাত্র ১ লক্ষ টাকা কি কাবিনে হয় ? এমন প্রশ্ন ও বড় ভাইয়ের। কিন্তু এখন সাঈদ এর মা পারভিন আক্তার অশ্রুসিক্ত নয়নে গনমাধ্যমকর্মীগনকে বলেন আমার ছেলে তো মেয়েটির সম্মান বাঁচাতে ও মেয়ের ইচ্ছেতেই বিয়ে করেছে। কিন্তু এরপর ও সমাধানের কথা বলে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। মা কাঁদতে কাঁদতে আরো বলে ওর বাবা দিদারুল আলম সামান্য সিএনজি চালক । বন্ধুর প্রেমিকা ও বন্ধুর সম্মান রক্ষা করতে আমার ছেলের এমন উদারতার জন্য জেল খাটতে হচ্ছে ! এ কেমন বিচার !