শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

অনুমোদন স্বত্বে ও খৈয়াছরায় পতিত জমিতে শিশুদের জন্য নির্মাাধিন প্লে-জোন ও খাবারের দোকানটি ভেঙ্গে দিল প্রশাসন : ভুক্তভোগির সংবাদ সম্মেলন

 

নিজস্ব প্রতিনিধি : মীরসরাইয়ে

অনাবাদি পতিতি জমিতে শিশুদের জন্য প্লে-জোন ও খাবারের হোটেল সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড কর্তৃক ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে ভুক্তভোগি সংবাদ সম্মেলন করেছে। বুধবার ৭ জুন সকালে উপজেলার ১২নং খৈয়াছরা ইউনিয়নের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে খৈয়াছরা ঝর্ণার সড়কের মুখে ভেঙ্গে ফেলা স্থাপনার মধ্য উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় ভূক্তভোগি পূর্ব খৈয়াছরা ইউনিয়নের বাসিন্দা হোমিও চিকিৎসক ও শিশু বিনোদন উদ্যোক্তা সুকান্ত কুমার রায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, আমার নিজ গ্রাম খৈয়াছরা এলাকায় প্রতিদিন শত শত পর্যটক ঝর্ণা দেখতে আসে। তাদের জন্য ভাল মানের খাবার হোটেল ও শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্য আমার নিজস্ব অনাবাদি পতিত ৩০ শতক জমিতে মাটি ভরাট করে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করি। এরমধ্য উপজেলা চেয়ারম্যান অফিস থেকে আমাকে একটি নোটিশ করে। তার আলোকে সরকারী সকল নিয়ম মেনে ভবনের নকশা এবং ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের উক্ত অনুমোদন নং- ০৮/২-২২-২৩, স্মারক নং- ৪৬.৪২.১৫৫৩.০০১.০১.০৩৯.২৩-১১৩। বিএস খতিয়ান নং- ১০৬২, বিএস দাগ নং-১২৪৪৯, পূর্ব মঘাদিয়া মৌজার ৩০ শতক জমির মধ্যে ১০ শতকের মধ্যে ঘরের অনুমোদন নেয়া হয়। উক্ত ক্যাফেটির নির্মাণ কাজ শুরু করি গত বছরের আগস্ট থেকে।

কিন্তু এতদিন আমাকে উক্ত ভবন নির্মাণের বিষয়ে কোন প্রকার বাধা প্রদান করেননি এসিল্যান্ড। সম্প্রতি কতিপয় নামধারী লোক আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। তাদের চাহিদামত টাকা না দিলে আমার ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে। কিন্তু গত কয়েকদিন পূর্বে মীরসরাইয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান আমার জমিনের কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমি তাকে সকল কাগজপত্র প্রদান করি। কিন্তু সে এটি কৃষি জমি বলে গতকাল মঙ্গলবার ৬ জুন আমাকে কোন প্রকার নোটিশ না করে উনি স্কেভেটর দিয়ে আমার স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেন। এতে আমার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। অথচ আমি নানাভাবে বোঝাতে চেষ্টা করেছি যে, এটি কৃষি জমি নয়। আমার পিতার সময় থেকেই আমরা দেখে আসছি এটি একটি পরিত্যক্ত ডোবা বা মজা পুকুর। উক্ত জমির আরএস আরএস ৮৭৩ নং খতিয়ানে আরএস ১১২৫৭ দাগে পুকুর উল্লেখ আছে এবং জমির অবস্থাও তাই। কিন্তু বিএস দাগে অজ্ঞাত কারণে তা নাল জমি লিখা রয়েছে। বিএস দাগে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের কথা উল্লেখ থাকলেও সরেজমিনে কিন্তু আরএসের মতই রয়েছে। এখানে মাছ চাষও হয় না আবার কোন ফসলও হয় না।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীরসরাই সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মিজানুর রহমান বলেন, উনার অনুমোদনপত্রটি ভূয়া, আমি নিজে তাকে সরেজমিনে গিয়ে বলে আসছি। কিন্তু এরপরেও উনি নির্মাণ কাজ করায় যথাযথ আইন মেনে তা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। ভূয়া বলে কিভাবে জানলেন এমন প্রশ্নে তিনি বল্লেন আমি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়েল সাথে কথা বলেছি উনি আমাকে জানিয়েছেন। ভবনের নকশায় উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীদের অনুমোদকৃত শীলসহ স্বাক্ষর রয়েছে কিভাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তা আমি জানি না।এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন বলেন আমার দপ্তরে সম্প্রতি অনেকগুলো প্লান অনুমোদন হয়। তার অনেক প্লান ই প্রকৌশলীদের উপর নির্ভর করে করা হয়েছে। আমি অসুস্থ থাকার দরুন অনেক প্রকল্পে আমি যেতে ও পারি নাই। এই বিষয়টি যেহেতু উত্থাপিত হয়েছে বিষয়টি আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আর যদি কৃষি জমি না হয়ে পতিত জমি হয়ে থাকে এই বিষয়ে ও সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক করনীয় দেখা হবে।