রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বাংলাদেশ সংকট নিয়ে কাল বসছে ইইউ

image_192019.ueae
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট, মানবাধিকার পরিস্থিতি, বাকস্বাধীনতা, নাগরিক অধিকার, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যত সম্পর্কে করণীয় নিয়ে বৈঠকে বসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আগামীকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ সংকট এজেন্ডা দিয়ে শুরু হবে বৈঠকটি। অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে ৯টি এজেন্ডা রাখা হয়েছে। বাকি এজেন্ডাগুলো শুধু অনুমোদন ও বিবৃতি দেয়ার জন্য পাশ করা হবে বলে জানা গেছে। এসময় সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির সদস্যরা তাদের পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন রির্পোট উপস্থাপন করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থার বিষয়ে সরেজমিন অভিজ্ঞতা, পর্যালোচনা এবং তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন তুলে ধরবেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া ক্রিস্টিয়ান ড্যান প্রিদা। এছাড়া সফরে আসা প্রতিটি সদস্যও বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে। এসময় আলোচিত হবে আ’লীগ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বক্তব্য। পাশাপাশি আলোচনায় প্রাধান্য পাবে সংকট সমাধানে সুশীল সমাজ ও কূটনীতিকদের অবস্থান। গত ১৬ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করে গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির একটি প্রতিনিধি দল। এসময় ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিনিধিদলের প্রধান ক্রিস্টিয়ান ড্যান প্রিদা বলেন, মানবাধিকারের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কারণেই আমরা বাংলাদেশে এসেছি। নিখোঁজ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সফর শেষে দলটি বলেছে, শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকারের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। একই সঙ্গে যেকোন পরিস্থিতেই মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরোধিতা করে তাদের আগের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে দলটি। ইইউ প্রতিনিধিদল বলেছিলেন, ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে পৌঁছাতে হলে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি আবশ্যই শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে বাংলাদেশের। এজন্য আমাদের একটি শক্তিশালী বাংলাদেশ দরকার। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য প্রতিনিধিদলটি বৈঠক করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়ার সাথে। সফরকালে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, পরিবেশবিদ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্পিকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করেছে। সহিংসতা বন্ধে সরকার ও বিরোধীদলকে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক মহল ও সুশীল সমাজের পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে। এসময় বাংলাদেশে নিখোঁজ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, মানবাধিকার পারিস্থিতির সরেজমিন পর্যবেক্ষণ, রোহিঙ্গা ও শ্রম অধিকার বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ সফর করেছিল ইইউ পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলটি।