বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ওরা পতাকার ফেরিওয়ালা

web-97রাজিব মজুমদারweb-97, মীরসরাই :: বিজয় দিবস, ভাষা ও স্বাধীনতা দিবসে দেখা মিলে পতাকার ফেরিওয়ালাদের। ডিসেম্বর এলেই পতাকা হাতে দেখা মেলে ওদের। বাঙালী জাতির বিজয়কে আনন্দঘন করতে দেশ ব্যাপী জাতীয় পতাকা ফেরি করে বিক্রী করায় ওদের পেশা। বিভিন্ন দিবসকে ঘিরে পতাকা বিক্রীর ধুম পড়ে।

আমাদের দেশে ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। বাঙ্গালী জাতির অহংকারের মাস এটি। ২ লাখ মা বোনের ইজ্জত ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়। দেশের মানুষ এ মাসে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরন করে। বিজয়ের মাস এলেই বাঙ্গালীর হৃদয় আবেক প্রবন হয়ে ওঠে। বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠে গোটা জাতি। এ কারনে বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকার কদর বেড়ে যায়। বাড়ী-ঘর, দোকান-পাট, বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত, এছাড়া রিক্সা, সিএনজি, মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে জাতীয় পতাকা টাঙ্গিয়ে দেশের প্রতি ভালবাসার জানান দেয় সবাই। এ মাসেই জাতীয় পতাকার বেচা বিক্রি হয় বেশী।
গত কয়েক দিন যাবত চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট, করেরহাট, জোরারগঞ্জ, মিঠাছড়া, মীরসরাই, বড়তাকিয়া, আবুতোরাব, নিজামপুর, কমলদহ, বড়দারোগাহাট, সহ বিভিন্নস্থানে পতাকা বিক্রেতাদের বিভিন্ন সাইজের পতাকা বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। সাইজ অনুযায়ী জাতীয় পতাকা বাঁশে বেঁধে বাজারে বাজারে ফেরি করে বিক্রী করতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম থেকে আসা পতাকা বিক্রেতা ওমর ফারুক (৩৫) নোয়াখালী সেনবাগ থেকে আসা আল আমিন পাটোয়ারী (২৭) সাথে কথা হয় মীরসরাই বাজারের কলেজ রোডস্থ মীরসরাই প্রেস কাবের সামনে ।
তারা জানায়, প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বব বিজয় দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস তারা জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন। বিক্রিও হয় ভাল। ছোট সাইজের প্রতিটি পতাকা ১০-১৫ টাকা। মাঝারী সাইজের ১০০ থেকে ১২০ এবং বড় সাইজের প্রতিটি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। তারা আরো বলেন, পতাকা বিক্রি করে লাভ কম হয় বটে তবে আনন্দটা একটু বেশি । দেশকে ভালবেসে এই পেশায় আসা। লাল-সবুজের পতাকা বিক্রি করে মনে প্রশান্তি আসে বলে জানান তারা।