শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

এক মাসে ৩০০ নেতাকর্মী গুম খুন : খালেদা জিয়া

khaleda_65258
বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গত এক মাসে সারাদেশে ৩০০ নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করেছে সরকার। যৌথ বাহিনীর ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিনা বিচারে নেতাকর্মীদের গুম ও হত্যাকান্ড চালানো হচ্ছে। খালেদা জিয়া বলেন, সরকারি ও জবরদস্তি করে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করা হয়েছে। গত এক মাসে সারাদেশে শতাধিক বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩ হাজার নেতাকর্মীকে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রী-এমপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এটি অবৈধ সংসদ। সুতরাং এই সরকারের মুখে জনগণের কথা শোভা পায় না। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই । গণতন্ত্রকে হত্যা করে এই সরকার ক্ষমতায় বসেছে। তারা প্রতিদ্বন্দ্বি সকল দলকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৫ ভাগ ভোটও পড়েনি দাবি করে বেগম জিয়া বলেন, এই নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে আগেই আসন ভাগাভাগি হয়েছে। আমাদেরকেও আসন দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তা চাইনি। বেগম জিয়া বলেন, আমরা চেয়েছিলাম একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই সংসদের নেতা, উপনেতা, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার কেউ-ই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। সুতরাং এই সরকার ও সংসদ অবৈধ।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, নির্বাচনে পর সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গণগ্রেফতারের নামে বাণিজ্য চলছে। বিএনপির ছাত্রনেতাদের শিবির পরিচয় দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। এখন চলছে অবৈধ শাসন প্রলম্বিত করার প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, বেছে বেছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের হত্যার অভিযানে মেতে উঠেছে সরকার। গত এক মাসে ১০ দিনের নির্বাচনী মামলায় ২২ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  আটক নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব। কিন্ত আটকের পর ও ক্রসফায়ারে হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ আর আওয়ামী বাহিনীর অত্যাহারে নেতাকর্মীরা কেউ বাড়িতে থাকতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আর এ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, লে.জে.(অব) মাহবুবুর রহমান, ব্রি.জে. (অব) আ স ম হান্নান শাহ, বেগম সারওয়ারী রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড.আবদুল মঈন খান।
এছাড়া ১৯ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কর্নেল (অব) অলি আহমেদ, বাংলাদেশ বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামের কর্ম পরিষদের সদস্য মশিউল আলম, ইসলাম ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ইসলামীক পার্টির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল মোবিন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস- যুগান্তর