শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

সুস্বাস্থ্য

চোখ উঠলে যা করবেন

চোখ উঠলে যা করবেন

সুস্বাস্থ্য
\ জীবনে সুখ যেমন আছে তেমনি অসুখও পাশাপাশি ওঁৎ পেতে থাকে। আর সেটা কখন এসে শরীরে বাসা বাঁধবে তা জানা যায় না। আজ আমরা যে রোগের কথা জানাবো তা হলো চোখ ওঠা।চোখ ওঠা বলতে সাধারণভাবে চোখ লাল হওয়া, খচখচ করা, সামান্য ব্যথা করা, পিচুটি জমা এবং রোদে বা আলোতে তাকাতে কষ্ট হওয়া ও পানি পড়াকে বোঝোনো হয়। বিশেষ করে রাতে ঘুমের পর সকালে উঠলে চোখের কোণে পিচুটি বা ময়লা জমতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। সর্দি ও চোখের চুলকানিও হতে পারে।এ রোগকে সাধারণভাবে চিকিৎসকরা কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার প্রদাহ বলে থাকে। চোখের কালো মণির চারদিকে যে সাদা অংশ দেখা যায়, এর আবরণকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কনজাংটিভা বলেন। চোখ উঠলে এই সাদা অংশ লাল হয়ে যায় এবং এখানে প্রদাহ বা জ্বালা যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়। সাধারণভাবে এ রোগটি ঋতু পরিবর্তনের সময় দেখা দেয়। অর্থাৎ শীত শেষে গরম যখন পড়তে থাকে সে সময় এ রোগ দেখা দেয়। একই স...
কালো জিরা এক মহৌষধের নাম

কালো জিরা এক মহৌষধের নাম

সুস্বাস্থ্য
কালো জিরাকে বলা হয় 'মৃত্যু ব্যতিত সর্ব রোগের মহৌষধ'। প্রাচীন কাল থেকেই নানা অসুখ-বিসুখে কালো জিরাকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন চিকিৎসক-কবিরাজরা। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ- সকল অঙ্গের রোগ নিরাময়ে জুড়ি নেই কালো জিরার। সর্দি-কাশি, আমাশয়, ফুসফুসের প্রদাহ, মাথার যন্ত্রণা থেকে শুরু করে জন্ডিস সব রোগেরই উপযুক্ত দাওয়াই এই কালো জিরা। নিচে কালো জিরার কিছু গুণ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো: কালো জিরা ভর্তা আমরা অনেকেই শখ করে খাই। রান্নার মশলার মধ্যে কালো জিরার গুণাগুণের তুলনা নেই। কালো জিরা শুধু ক্ষুধা বাড়ায় তা নয়, পেটের বায়ুনাশক ও ফুসফুসের রোগেও মহাউপকারী। আমাশা নিরাময়- আমাশার সমস্যায় কালোজিরা মহৌষধ। এ সময় কালোজিরা সামান্য ভেজে গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে ৭-৮ চা চামচ দুধে মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে সাত দিন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। গলা ফোলা- সর্দি-কাসির জন্য গ্লান্ড ফুলেছে, সে ক্ষেত্রে কালোজ...
চিকিৎসা যখন খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তনে

চিকিৎসা যখন খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তনে

সুস্বাস্থ্য
হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে কোলেস্টেরল নামক চর্বি জাতীয় পদার্থ স্তূপাকারে জমা হয়ে রক্তনালির ভেতর দিকের রক্তপ্রবাহের পথে বাধার সৃষ্টি করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ব্লক বলে অভিহিত করা হয়। এসব ব্লক বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যায় ও আকারে বৃদ্ধি পেতে থাকে যা মানবদেহে মাঝারি ও বড় বড় রক্তনালিতে খুব বেশি পরিমাণে পরিলক্ষিত হয়। হৃৎপিণ্ডে রক্তনালির ব্লক নির্ণয়ের জন্য করোনারি এনজিওগ্রাম নামক টেস্ট করা হয়ে থাকে। এনজিওগ্রামের মাধ্যমে বড় রক্তনালিতে অবস্থিত বড় বড় ব্লকগুলোকে শনাক্ত করা যেতে পারে। আপনারা অনেকে দেখেছেন, হৃৎপিণ্ডের তিনটি প্রধান রক্তনালির মধ্যে একটিতে ১০০% একটিতে ৮০% এবং আর একটিতে ৭০% ব্লক, অনেক রোগীরই এমনটা থাকে, তার মানে তিনটিতে মোট ২৫০% ব্লক আছে এবং মাত্র ৫০% পথ রক্তপ্রবাহের জন্য খোলা আছে এবং সেই ব্যক্তি মোটামুটিভাবে সুস্থ জীবনযাপন করছেন। এখানে প্রশ্ন হলো ৩০০% এর জায়গায় মাত্র ৫০% রক্তপ...
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সহজ কিছু সমাধান

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সহজ কিছু সমাধান

বিশেষখবর, সুস্বাস্থ্য
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি মারাত্মক অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা। যা সঠিক চিকিৎসার অভাবে পাইলস এবং কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ দেহে বয়ে নিয়ে আসে। অস্বাস্থ্যকর এবং বাজে খাদ্যাভ্যাস, অপুষ্টিকর খাবার ইত্যাদির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অস্বস্তিকর সমস্যায় পড়ে থাকেন অনেকেই। সব চাইতে ক্ষতিকর দিকটি হলো অনেকেই এই কোষ্ঠকাঠিন্যকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিয়ে চুপচাপ বসে থাকেন। এরপর যখন তা মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায় তখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক কাজ নয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে অবহেলা করবেন না। যদি ডাক্তারের কাছে যেতে না চান তবে ঘরোয়াভাবে এই সমস্যা বাড়তে না দিয়ে সমাধান করে নিন। কিশমিশ ও গরম দুধ১০/১২ টি কিশমিশ নিয়ে ভালো করে ধুয়ে বিচি থাকলে তা ছাড়িয়ে নিন। এরপর ১ গ্লাস দুধে কিশমিশ দিয়ে ১ চিমটি দারুচিনিগুঁড়া দিয়ে ভালো মতো ফুটিয়ে নিন। এভাবে টানা তিন দিন দুধ পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা...
অতিরিক্ত ব্যায়াম ক্ষতিকর, কখন থামতে হবে বুঝুন

অতিরিক্ত ব্যায়াম ক্ষতিকর, কখন থামতে হবে বুঝুন

সুস্বাস্থ্য
হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন তারা। এমন ২ হাজার ৪০০ জনের ওপর গবেষণা চালানো হলো। প্রাথমিকভাবে গবেষকরা দেখলেন, যারা যতো বেশি ব্যায়াম করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে হার্টের মারাত্মক অসুখে আক্রান্ত হয়েও মৃত্যুর ঝুঁকি ততোটাই কম। কিন্তু, অবশ্যই সেখানে একটা সীমারেখা রয়েছে। অনেকেই মনে করে থাকেন, ব্যায়াম বেশি করলে ক্ষতিটা কোথায়! এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, সবকিছুর মধ্যেই পরিমিতি বোধটা থাকা খুব জরুরি। ওই গবেষণার গবেষকরা জানালেন, প্রতি সপ্তাহে যারা ৩০ মাইলের বেশি দৌড়াতেন, তাদের ক্ষেত্রে শরীরচর্চার সুফল বা উপকারের মাত্রাটা কমতে লাগলো। অন্যদিকে, যারা সপ্তাহে ৪৬ মাইল অর্থাৎ দিনে সাড়ে ৬ মাইলের বেশি হাঁটতেন, তারাও ব্যায়ামের উপকার থেকে বঞ্চিত হলেন। ‘মায়ো ক্লিনিক প্রসিডিংস’ সাময়িকীতে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। গবেষণা এখানেই শেষ নয়। দেখা গেলো, যারা সপ্তাহে অতিরিক্ত...
তেঁতুলের এত গুণ !

তেঁতুলের এত গুণ !

সুস্বাস্থ্য
যে দেশে যে নামেই ডাকা হোক না কেন তেঁতুল দেখলে জিহ্বায় জল আসেনা এমন আছেন কেউ । নাই। যদিও বর্তমানে বাজারজাতকরনের পক্রিয়ার পরিবেশ দেখে তেঁতুলকে অনেকেই এড়িয়ে চলেন তবে তেঁতুল কিš ফেলনা নয়। টকের আধার হিসেবে তেঁতুলকে আমরা চিনলেও তেঁতুলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তেতুলের আদিস্থান সুদান বা দক্ষিন আফ্রিকার হলেও বাংলাদেশের কমবেশী সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক তেঁতুলের অবিশ্বাস্য কিছু পুষ্টিগুণের কথা। তেঁতুল দেহে উ”চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। শরীরের মেদ কমাতেও কাজ করে তেঁতুল। পেটে গ্যাস, হজম সমস্যা, হাত-পা জ্বালায় তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। গর্ভাবস্থায় বমি বমি বমি ভাব দূর করে। তেঁতুল পাতার ভেষজ চা ম্যালেরিয়া জ্বর কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। শিশুদের পেটের কৃমিনাশকে তেঁতুল বেশ উপকারী । তেঁতুল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাইলস্ চ...
মধুমাসের মধুর ফল লিচু খাবেন ১২ কারণে

মধুমাসের মধুর ফল লিচু খাবেন ১২ কারণে

সুস্বাস্থ্য
মধুমাসের মধুর ফল লিচু। সুস্বাদু এ ফলটি নানা গুণে গুণান্বিত। বহু পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ এ ফলটি যদি ফরমালিনমুক্ত হয়, তবে তা নিশ্চিন্তে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারেন। নিচে লিচুর ১২টি উপকারি দিক সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো: ১) লিচু রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ২) ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল লিচু খাওয়ার অভ্যাসে ত্বকে বলিরেখা, ভাঁজ পড়ে না এবং ত্বক থাকে সজীব ও সতেজ। ৩) উচ্চ রক্তচাপ জাতীয় সমস্যাকে প্রতিরোধ করে লিচু। ৪) এ ফলটি পরিপাক ও হজমক্রিয়াকে সুস্থ ও সবল রাখে। ৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে ও কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে লিচু। ৬) নিয়মিত লিচু খাওয়ার অভ্যাসে বার্ধক্য দেরিতে আসে। ৭) আর্থ্রাইটিস বা বাত থেকে সুরক্ষা দেয় জনপ্রিয় এ ফলটি। ৮) অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ থেকেও সুরক্ষা দিতে ভূমিকা রাখে লিচু। ৯) লিচু হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ১০) ক্যান্সার প্রতিরোধে ও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য এ...
স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সম্পর্কিত কিছু সতর্কবার্তা

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সম্পর্কিত কিছু সতর্কবার্তা

বিশেষখবর, সুস্বাস্থ্য
প্রধানত ব্লাড গ্রুপকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। একটা হল ABO system (A, B, AB & O), অপরটি হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে নাকি নেগেটিভ হবে। তাহলে ব্লাড গ্রুপগুলো হল: A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve. যখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের রক্ত দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারণত কিছু হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরি হবে যার ফলে যদি কখনো রোগী আবার পজেটিভ গ্রুপের রক্ত নেয় তাহলে তার ব্লাড সেলগুলো ভেঙ্গে যাবে। এতে নানারকম সমস্যা হবে। যেমন: জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, আকস্মিক মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ABO incompatibility. স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর রক্তের গ্রুপও পজেটিভ হতে হবে। আর যদি স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রী...