শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ইছাখালীর ইউপি মেম্বার কর্তৃক মৎস ব্যবসায়ীর ১৭ লক্ষ টাকা না দিয়ে পাল্টা হুমকী

নিজস্ব প্রতিনিধি :: মীরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার নেছার উদ্দিন গেলমান এর এর বিরুদ্ধে দীঘি বন্ধক দিয়ে নগদ ১৩ লক্ষ টাকা গ্রহন এবং বন্ধকের শর্ত সাপেক্ষ অর্থ সহ প্রায় ১৮ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । এছাড়া টাকা চাইলে পাল্টা হুমকীর অভিযোগ ও উঠেছে। উপজেলার পরাগলপুর গ্রামের মৎস ব্যবসায়ী জয়নাল হোসাইন ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীগনকে জানান। অবশেষে বিষয়টি জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের তদন্তাধিন রয়েছে বলে ও জানা গেছে।
মৎস ব্যবসায়ী জয়নাল হোসাইন বলেন আমি উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নের একজন মৎস ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যে বেশ কিছু পুকুরে মৎস চাষ করে আসছি সেই সূত্র ধরে পাশ্ববর্তি ইছাখালী ইউপি মেম্বার নেছার উদ্দিন গেলমান তার কয়েকটি মাছের প্রকল্প আমাকে চাষের জন্য লাগিত ( টাকার বিনিময়ে বন্ধক) নিতে বলে। আমি ও সরল বিশ্বাসে নিজের ব্যবসার মূলধন থেকেই তাকে ১৩ লক্ষ টাকা নদ প্রদান করি । আবার উক্ত বন্ধকের বিনিময়ে ৫ বছরের জন্য মাছ চাষের লভ্যাংশ সাব্যস্থ করা হয় আরো ৫ লক্ষাধিক টাকা। টাকা বুঝে পাবার পর ইউপি মেম্বার আমাকে তার বিগত দিনে মাছ চাষ করার ও সুযোগ দেয়নি, আবার আমার টাকা ও ফেরৎ দিচ্ছে না। এতে আমি দারুনভাবে ব্যবসায় সংকাটপন্ন অবস্থায় পতিত হই। অবশেষে নানা টালবাহানার পর আমার টাকা ফেরৎ চাইলে নানাভাবে আমাকে হয়রানি সহ হুমকী ধমকি ও দেয়। অবশেষে এই বিষয়ে আমি গত ১৩ নভেম্বর লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন এর শরনাপন্ন হলে নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থার অনুরোধ জানায়। জোরারগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনর্জা মফিজুর রহমান এর পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম অভিযুক্ত ইউপি মেম্বারকে ২৩ নভেম্বর থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনার সুরাহা করতে চাইলে ইউপি মেম্বার নোটিশকৃত সময়ে থানায় উপস্থিত হয়নি। আরো জানা গেছে উক্ত ইউপি মেম্বার নেছার উদ্দিন গেলবান একইভাবে অনেক লোকের সাথে প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এই বিষয়ে এসআই সিরাজ জানান বিষয়টি নিয়ে আমরা সুষ্ট সমাধানের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছি। আশা করছি শীঘ্রই যথাযথ সমাধান সম্ভব হবে। আর পাওনাদার অবশ্যই তাঁর ন্যায্য অর্থ ফিরে পাবেন। এই বিষয়ে ৬নং ইছাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা জানান বিষয়টি আমি ও অবহিত আছি, উক্ত সদস্য অন্যায়ভাবে কারো অর্থ আত্মসাৎ করলে এর দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদ নিবে না কখনো। বাকীটা আইনগত বিষয়।