শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দৃষ্টান স্থাপন করেছে মীরসরাইয়ের বিলকিস আক্তার

 

ইমাম হোসেন:  নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মীরসরাই উপজেলার পৌরসদরে মীরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী বিলকিস আক্তার (১৬)। কয়েকদিন আগে মা, খালা ও নানি বিয়ের জন্য বিলকিস আক্তার এর কোন মতামত গ্রহণ না করে বিয়ের আয়োজন করছিলেন। বিয়ের দিনক্ষণ আড়াল থেকে শুনে ফেলে সে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ মে) দুপুর ২টা স্কুলের কয়েকজন সহপাঠীর পরামর্শে বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য লিখিত অভিযোগ সহ তার সহপাঠীদের নিয়ে ওই ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করার দাবীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়সার খসরু কার্যালয়ে অবস্থান যায়। এসময় ভূমি কর্মকর্তা কায়সার খসরু এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সুমি ওই ছাত্রীর জবানবন্দী অনুযায়ী এই বিয়ে বন্ধের আদেশ দেন।
এর আগে, গত ২৬ এপ্রিল ওই ছাত্রী এই বিয়ে বন্ধের জন্য তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরাবরে একটি দরখাস্ত করে। ভূক্তভোগী ওই ছাত্রীর স্কুলে দেওয়া দরখাস্ত থেকে জানা যায়, উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ফেনাপুনি গ্রামে মৃত সেকান্তর মিয়া কিশোরী মেয়ে বিলকিস আক্তার(১৬) একই গ্রামের ইব্রাহিম খলিল (৫৫) নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন থেকে তাকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো। পাশাপাশি ইব্রাহিম ওই ছাত্রীকে তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার মাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর মা ইব্রাহিমের সঙ্গে তার বিয়ে দেবেন বলে মনস্থ করে। স্কুলে দেওয়া দরখাস্তে ওই ছাত্রী আরো উল্লেখ করে যে, ইব্রাহিম একজন মদ্য ব্যবসায়ী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মীরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়সার খসরু বলেন, এই বিয়ে আমি বন্ধ করে দিয়েছি। উত্যক্তকারী ওই ব্যক্তিকে সর্তক করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এধরনের কোন কাজ করবেনা মর্মে একটি মুছলেকা নেওয়া হয়েছে।
বিলকিস আক্তারের মা বিবি খতিজা কাছে জানান চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটার বাবা মারা গেছে, আমি গরিব মানুষ, আমি বাসা বাড়িতে কাজ করে মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাই। সবাই বলছে ছেলেটা ভালো তাই বিয়ে দিতে রাজী হয়েছি।