শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা ১০ জনের ফাঁসি

41817_f3

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে বসুদৌহিতা গ্রামে স্কুলছাত্রী সীমা হত্যা মামলায় ১০ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল বাছিদ দীর্ঘ শুনানি শেষে এরায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা নিহতের পরিবারকে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ১৮ই জুলাই রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসুদৌহিতা গ্রামের লক্ষণ দেবনাথের ঘরে ২০-২৫ জনের একদল ডাকাত মুখোশ পরে প্রবেশ করে। পরে স্বর্ণালঙ্কার ও মামামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ঘরের একটি কক্ষে আটকে স্কুলছাত্রী সীমাকে গণধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনার পরের দিন ২০১২ সালের ১৯শে জুলাই সকালে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় নিহতের বড় ভাই কৃষ্ণলাল দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৩ সালের ২৫শে মার্চ ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চাজশিট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে এবং ২২ জন সাক্ষীর স্বাক্ষর গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামিরা হলো- উত্তরপাড়া গ্রামের মানিক হোসেন, বেনাপোল এলাকার শাহ আলমের পুত্র সাদ্দাম হোসেন, কুমিল্লা এলাকার হিরণ, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকার রাশেদুল ইসলাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রপুর গ্রামের সুমন, বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর গ্রামের সোহেল, চাটখিল উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের নূরনবী, নোয়াখালী শ্রীরামপুর গ্রামের নূর আলম, বেগমগঞ্জ উপজেলার হেদায়েত উল্যা ও আনোয়ার হোসেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পলাতক রয়েছে মানিক, সাদ্দাম হোসেন, সুমন, সোহেল ও রাশেদুল ইসলাম। এ মামলার ইতিপূর্বে বাবুল হোসেন নামে এক আসামী মারা যায়। অপরদিকে ১৪ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট জসিম উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রী সীমা হত্যা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি এবং প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করার আদেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ১৪ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বাদীপক্ষ এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিবাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট একেএম হুমায়ুন, এডভোকেট আবদুল ওয়াহেব, এডভোকেট মোরশেদ আলম প্রমুখ।