সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ের উপকূলে আসছে অতিথী পাখি : ওদের রক্ষা কি করবে না কেউ !

রুদ্র রহমানweb-98 :: মীরসরাই উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথী পাখি। প্রত্যদর্শিরা জানায় অন্যান্যবারের তুলনায় এবার শীতের শীতের শুরু থেকেই বিভিন্ন স্থান ও দেশ বিদেশ থেকে আসতে শুরু করেছে হাজার হাজার অতিথী পাখি। কিন্তু শিকারীর দল এখন থেকেই এই প্রাকৃতিক সম্পদ বদ করে ভোজন করার পরিকল্পনায় আনাগোনা প্রত্য করেছে অনেকে।
গেল কয়েক বছর মিরসরাই উপজেলার এই সাহেরখালী, মঘাদিয়া, মুহুরী প্রকল্প, বগাচতর উপকূলে সমূদ্রের কোল ঘেষে সুন্দরী বাইন কেওড়া গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝাকে ঝাকে অতিথী পাখির সারি সত্যিই এখানকার প্রকৃতিতে আনে ভিন্ন রমম সমৃদ্ধতা। কিন্তু এক শ্রেনীর পাখি শিকারীদের উৎপাতে এখন সত্যিই সচেতন মহল বিচলিত। স্তম্ভিত। অনেকে আবার প্রতিবাদের মুখরিত হবার চেষ্টা করলে ও শিকারীদলের প্রভাবশালি হাঁক ডাকে চুপষে যায় প্রতিবাদে। এভাবে তো আর চলে না। এভাবে কি বিলীন হয়ে যাবে আমাদের প্রকৃতি থেকে অতিথী পাখিদের আনাগোনা।
উপকূলীয় বনাঞ্চলে সম্প্রতি রীতিমতো বন্দুক নিয়েই অনেক শিকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে বলে প্রত্যদর্শিরা জানায়। আবার কিছু দুষ্টচক্র নানা ফাঁদে অতিথীপাখি, বকের ছানা, নানান জাতের বক সহ, পানকৌড়ি, ডাহুক, মাছরাঙ্গা, নানান জাতের পাখি ধরে বাজারে ও বিক্রি করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে প্রয়োজনে আড়াল করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ও বিক্রি করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে মলিয়াইশ, মঘাদিয়া, ওচমানপুর, ইছাখালী এলাকায় এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
মীরসরাইয়ের উপকূলীয় বন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময় আমরা পাখি ধরা কিংবা শিকারীদের বিষয়ে অভিযান করেছি। এখনো আমরা সজাগ রয়েছি। যে কেউ আমাদের এমন অপরাধের তথ্য প্রদান করলে আমরা তাৎনিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন পাখি নিধন ও বিক্রি বন্য আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। ভৌগলিক কারণে আমাদের দেশে প্রায়ই ঝড় জলোচ্ছাসের কবলে পড়তে হয়। আর এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রা পেতে বিশেষ করে উপকুল এলাকায় গাছ-পালা আর পাখ পাখালীর অভয়ারন্য প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি।
প্রাকৃতিক বৈচিত্রে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আর বৈচিত্রময় মিরসরাইএর উপকূলীয় অঞ্চল এর অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ নানান অতিথি পাখিদের আগমন। অথচ সামান্য ভোগের কারণে প্রকৃতির এ অমূল্য সম্পদকে নিধন করছে কতিপয় হায়েনা। অবিলম্বে এ সকল অতিথি পাখি নিধন কারীদের এবং গাছ হত্যাকারীদেও দমন প্রয়োজন। পাখপাখালি, প্রাণীকুল ও গাছপালা জীববৈচিত্রের বিরাট অংশ জেনেও আইন প্রয়োগে কঠোরতা নেই বলেই আমরা হারাচ্ছি আমাদের জীববৈচিত্র এবং নিজের হাতেই আমরা ধংস করছি আমাদের পরিবেশ।