শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি

26421_102

রমজানের ১৫ দিন আগেই তথা ১৫ই জুন থেকে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। প্রতিবারের মতো এবারও নিত্যপণ্যের দাম জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সংস্থাটি এ কার্যক্রম শুরু করবে। ইতিমধ্যে পণ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া শেষের দিকে বলে টিসিবি সূত্রে জানা গেছে। রমজান মাসে পণ্যের সরবরাহ ও নিত্যপণ্যের দর সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে এবার একটু আগে ভাগেই কাজ শুরু করে দিয়েছে টিসিবি। এ জন্য প্রত্যেক বছর তেল, চিনি, ডাল, ছোলা ও খেজুর আমদানির কার্যক্রম হাতে নেয় সংস্থাটি।
টিসিবি জানায়, এ বছর ৩ হাজার টন তেল, দেড় হাজার টন ছোলা, ১৫০ টন খেজুর ও ২ থেকে ৩ হাজার টন মশুর ডাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চিনি, ডাল ও তেলের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও খেজুর ও ছোলা এখনও সংস্থাটির হাতে এসে পৌঁছেনি। তবে সংস্থাটি আশা করছে আগামী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পণ্য দু’টি তাদের কাছে পৌঁছাবে। আর এটি আসলে রমজানের জন্য সব পণ্যের মজুদ থাকবে টিসিবির কাছে।
জানা গেছে, তানজানিয়া থেকে দেড় হাজার টন ছোলা আমদানি করা হচ্ছে, যা দু-একদিনের মধ্যে সংস্থাটির কাছে পৌঁছাবে। আর ইরাক কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৫০ টন খেজুর আমদানি করা হচ্ছে, যা আগামী মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে হাতে পাবে সংস্থাটি। আর এই সব প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি (রমজানের ১৫ দিন আগে) থেকেই খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি সম্ভব হবে।
সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা হুমায়ন কবির মানবমজিনকে জানান, পণ্য সংগ্রহের কাজ শেষের পথে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে মজুদ প্রক্রিয়া শেষ করা যাবে। আর রমজানের ১৫ দিন আগে এটা খোলাবাজারে বিক্রি সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। খোলা বাজারে বিক্রি করা পণ্যের দর নিয়ে তিনি বলেন, পণ্য বিক্রির কয়েক দিন আগে বাজারে বিক্রির দর নির্ধারণ করা হবে। তবে বাজার দরের চেয়ে বেশ কম হবে বলে জানান তিনি।
রমজান মাসে কিছু নিত্যপণ্যের দর সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতিবছর খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে টিসিবি। টিসিবির নিজস্ব ৪টি বিক্রয় ক্রেন্দ্রসহ রাজধানীর প্রায় ৩৫টি স্থানে ট্রাকে করে এই বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। তাছাড়া বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতেও টিসিবির খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।
এদিকে গত অর্থবছরে রমজান ও বাকি সময়ের জন্য দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মন্ত্রণালয় ৫০ হাজার টন চিনি, ১৩ হাজার টন সয়াবিন তেল, ৮ হাজার টন পাম অলিন, ১০ হাজার টন মসুর ডাল এবং ২ হাজার টন ছোলা সংগ্রহের নির্দেশ দেয়। তবে শুধু রমজান মাসকে সামনে রেখে ১৫ হাজার টন চিনি, ১০ হাজার টন ভোজ্যতেল, ১০ হাজার টন মসুর ডাল এবং ২ হাজার টন ছোলা মজুতের নির্দেশনা দেয়া হয়।