রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

এর পরিণতি হবে ভয়াবহ : জামায়াত

image_58835_0

রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে সংবিধান, সুপ্রিমকোর্ট রুলস এবং জেলকোডের বিধান অবজ্ঞা করে কাদের মোল্লাকে বিচারের নামে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী। এর প্রতিবাদে সোম ও মঙ্গলবার হরতাল সফল করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘সরকার এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। আইনি প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের সাথে সরকারের যে বা যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’ডা. শফিকুর বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সংবিধান, সুপ্রিমকোর্ট রুলস ও জেলকোড লঙ্ঘন করে দ্রুত আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ সোম ও মঙ্গলবার দেশব্যাপী স্বতঃস্ফূর্তভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে।’তিনি আরো বলেন, ‘অন্যায়ভাবে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কাল্পনিক, বানোয়াট ও ভুয়া সাক্ষীদের দিয়ে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় হাসিল করে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। জনগণ সরকারের এ চক্রান্ত প্রত্যাখ্যান করে দেশব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান লর্ড অ্যাভেবুরি, লর্ড কারলাইল, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অন্যতম সদস্য গ্রাহাম এলেন এমপি, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের যে আহ্বান জানিয়েছে তাও উল্লেখ করেছেন ডা. শফিকুর রহমান।তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিভিউ পিটিশন দায়ের করা  আব্দুল কাদের মোল্লার সাংবিধানিক অধিকার। এছাড়া আইন অনুযায়ী, তার অধিকার আছে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার। তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, আদালত কোন কারণে তাকে দণ্ডিত করেছে এসব জানার আইনি অধিকার তার রয়েছে। সরকার তাকে রায়ের কপি না দিয়ে শুধু মৃত্যু পরোয়ানা পাঠ করে শুনানোর মাধ্যমে প্রমাণ করেছে, তারা যে কোনো উপায়ে কাদের মোল্লাকে হত্যা করে তাদের খায়েস পূরণ করতে চায়। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’

Leave a Reply