রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

উত্তরাঞ্চলে পরিবহন ধমর্ঘট অব্যাহত, যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে

image-8_103730

৬ দফা দাবিতে দ্বিতীয়দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলা।রংটুর বিভাগের ৮ জেলায় আন্ত: বাস চলাচল করলেও ঢাকাগামী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল ও পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধসহ দাবিতে রোববার থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস-ট্রাক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এদিকে সোমবার দুপুরে রাজশাহীতে প্রশাসনের সাথে পরিবহন মালিকদের সমঝোতা বৈঠকেও সোন সুরাহা হয়নি। বৈঠকে দাবি নিয়ে কোন সমঝোতা না হওয়ায় ধর্মঘট চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন নেতারা।

ধর্মঘটের কারণে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। জেলাগুলোতে কোথাও দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, ট্যাঙ্ক লরি ও কভার্ড ভ্যান চলাচল করছে না। জরুরী প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের একমাত্র উপায় এখন ট্রেন। সোমবার রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সিল্কসিটি এক্সপ্রেসে যাত্রীর সংখ্যা ছিল কয়েকগুণ। টিকিট না পেয়ে অসংখ্য যাত্রী ছাদে করে গন্তব্যে যাতায়াত করেছে। একই অবস্থায় রংপুর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এবং একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে লক্ষ্য করা গেছে।

রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক বিষয়ক সম্পাদক আলীমুদ্দিন আলী জানান, প্রশাসনের সাথে বৈঠকে দাবি পুরনের কোন আশ্বাস মেলেনি। এজন্য ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট চলবে। তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে রংপুর বিভাগের আট জেলায় এই কর্মসূচি চলছে বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে নাটোর সমিতি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় ঢাকা থেকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসা অর্ধশতাধিক নৈশকোচ নাটোরের ওপারে আটকা পড়েছে।সিরাজগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘটের কারনে যমুনা সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে শত শত ট্রাক আটকা পড়েছে।

বাস-ট্রাক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ৬ দফা দাবিগুলো হচ্ছে, নসিমন, করিমন, ভূটভটি, পাওয়ারটিলার, ট্রাক্টরসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ, সিএনজি, মাহেন্দ্র, থ্রিহুইলার, ইমা রুট পারমিট বহির্ভুত এলাকায় চলাচল বন্ধ ও রুট পারমিট প্রদান বন্ধ, লিজকৃত বিআরটিসি ও দ্বিতল বাস উপজেলা ভিত্তিক চলাচল বন্ধ, স্কেলের নামে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ, বিআরটিএর ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস এর বর্ধিত ফি প্রত্যাহার এবং সব প্রকার পুলিশী হয়রানি বন্ধ করা।