নিজস্ব প্রতিনিধি :: মীরসরাইয়ে এক ইউপি সদস্যকে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষের মহিলা দ্বারা সামাজিক ও বেআইনি ভাবে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগি ঐ ইউপি সদস্য। ১৮ এপ্রিল শনিবার সকালে মীরসরাই প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন দুখু বলেন, তার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পাশবর্তি বাড়ির শেখ হামু মিঝি বাড়ীর মৃত আবুল বশরের ছেলে মো. আলমগীর মো. ইমাম হাসান, মো. হারুনুর রশিদ, মো. আনোয়ার হোসেন ও মো. দিদারুল আলম গংদের সাথে পৈত্রিক এবং ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেখানে বসবাসে এবং বর্তমানে নতুন ঘর নির্মাণ করতে গেলে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে জোরপূর্বক বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশি রায়কে তারা মেনে নেয়। ফের প্রতারণা করে বিজ্ঞ আদালতে তারা মামলা দায়ের করে। মামলা করে। পরোক্ষনে আমিও আমার সম্পতি বুঝে নিতে আদালতে মামলা দায়ের করি। এতে উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃংখলা বাজায় রেখে বসবাস করার নোটিশ জারি করে। কিন্ত তারা আদালতের নোটিশ অমান্য করে গত ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ীর একমাত্র চলাচলের জায়গায় ফটক তুলে আটকানোর চেষ্টা করে। আমি এবং স্থানীয় জনতা বাধা দিলে আমাকে তাদের এক ভাই হারুন, তার বোন রোকেয়া আক্তার, হারুনের স্ত্রী রুমা আক্তার এবং তাদের মা শফিকের নেছা আমার দিকে তেড়ে এসে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করে এবং প্রাণনাশের হমুকিসহ মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা করে হয়রানি করার হুমকিও দেয়। এসময় স্থানীয় জনতা বাধাদিলে তারা সটকে পড়ে। তিনি আরো বলেন, তাদের এমন কর্মকান্ডে আমি স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানায় বিগত সময়ে ২টি সাধরাণ ডায়েরী করেছি। আমি ঐ ওয়ার্ডের দায়িত্বরত ইউপি সদস্য এবং সম্পত্তিও আমার। তাহলে আমি যদি এভাবে তাদের ববর্র নির্যাতনের শিকার হই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। আমি এ বিষয়ে প্রসাশনের কাছে আইনি সহায়তা চাই।
এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষের হারুনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি তার বোন রোকেয়াকে কথা বলতে বলেন। রোকেয়া ঘটনাস্থলে ফটক দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য ফটক লাগানো হয়েছে। কিন্তু দুুখু মেম্বার তার লোকজন নিয়ে ফটক ভেঙ্গে দিয়েছে। তারা কোন প্রকার হুমকি ধমকি দেননি।