খবরিকা ২৪ ডেক্স : সারাদেশে অবরোধের প্রথম দিনে মিরসরাই উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সহ সর্বত্র ছিল আতংকভাব, রাস্তাঘাটে যান চলাচল ছিল প্রায় শূন্য। চিরচেনা ব্যস্ততম মহাসড়কের এই অংশে থাকতো শুধু গাড়ি আর গাড়ি, কোলাহল আর ব্যস্ততা। আবার লাইন ধরে লেগে থাকা যানজট ও ছিল নিত্যদিনের । আজ এই জনপদ ভিন্নরুপে। জনমানবহীন সড়ক যেন এক অচেনা জনপদ। অগ্রহায়নের এই মৌসুমে প্রত্যহ ভোরে সবজি বিক্রেতারা প্রত্যুষে মহাসড়কে নিয়ে আসে তাদের নানান মৌসুমী সবজি। আজ রাস্তায় এসে পাইকার না আসায় বিপাকে কৃষকরা। অন্যসময় হরতাল হলে ও কোন না কোনভাবে চলে যেত। আজ অচল সবাই।
বারইয়ারহাট বাজারের উত্তরে ধুমঘাট ব্রীজ এলাকায় ভোররাতে প্রায় অর্ধশত কার্ভ্যাড ভ্যান, বাস ও প্রাইভেট কার ভাংচুর করেছে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা।
তফশীল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপি ও শিবির কর্মীরা তখন ১টি কার্ভ্যাড ভ্যান ও ১ টি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে। গাড়ি ভাংচুরের সময় প্রায় ১০ যাত্রী আহত হয়েছে বলে একটি বিশ্বস্থ সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
এই অবরোধের কারণে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) মিরসরাইয়ের কলেজগুলোতে চলমান উচ্চ মাধ্যমিক নির্বাচনী পরীা অনুষ্ঠিত হয়নি এবং বুধবারের পরীাও স্থগিত করা হয়েছে। ফলে পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী শিার্থীরা পরীা দিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ে। যানচলাচল বন্ধ থাকায় অনেক পরীার্থী কলেজেও আসতে পারেনি।
বারইয়ারহাট কলেজের অধ্য মো: আলমগীর জানান, পরীার সময়সূচী অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে বেশকিছু শিার্থী পরীা দিতে এলেও হরতালের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক শিার্থী ও শিক কলেজে আসতে পারেনি। ফলে গত্যান্তর না দেখে মঙ্গলবার ও বুধবারের পরীা স্থগিত করা হয়েছে। এ পরীাগুলোর পরিবর্তিত সময়সূচী পরবর্তীতে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে ধুমঘাট ব্রীজ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কমলদহ এলাকায় গাড়ি ভাংচুরের প্রচেষ্টা করলেও সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় কোন প্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।