নিজস্ব প্রতিনিধি :: মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অবশেষে সারাদেশের পাশাপাশি গ্রামীন জনপদে ও মডেল মীরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়ন। সরকার আপোষহীন লকডাউনে নেমেছে আর এই ঘোষনার সাথে সাথে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জারি করা নীতিমালা কার্যকর করতে চকিদারের মতো হাটে বাজারে লাঠি আর টুল নিয়ে দিন রাত বসে আছে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মাষ্টার।
দেশের অনেক স্থানে গ্রামীন জনপদে এইসব নির্দেশনা মানতে চাইছে না অনেকে। কিন্তু মীরসরাই উপজেলার কিছু ইউপি চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অবতীর্ণ হবার পর তাঁদের তৎপরতায় গ্রামীন জনপদে লকডাউন মানা হচ্ছে না তা সঠিক নহে তাই প্রমানিত। বিশেষ করে মীরসরাই উপজেলার অন্যতম গ্রামীণ বৃহৎহাট আবুতোবার বাজার সহ কয়েকটি এলাকার দৃশ্যপট গত কদিন ধরে ভিন্নতর। স্থানীয় ১১ নং মঘাদিয়া ইউপি জাহাঙ্গীর মাষ্টার নিজে সরকারি নির্দেশনা মতো কিছু নির্ধারিত মুদি ও কাঁচা বাজার সকাল থেকে ৫ টা পর্যন্ত একজন করে নির্ধারিত দূরত্বে শুধুমাত্র ক্রেতাদের প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। এরপর ঔষধ ছাড়া সকল দোকান বন্ধই, আবার ঔষধ ক্রেতা কেউ ছাড়া কাউকে বাজারে প্রবেশ ও করতে দিচ্ছেন না। নিজে চকিদারের মতো বাজারে টুল দিয়ে একাই বসে থাকছেন। আবার সাধুরহাট সহ তাঁর ইউনিয়নের গ্রামের কোনায় অবস্থিত সকল চা দোকান ও চকিদার দ্বারা বন্ধ কিনা মনিটরিং করাচ্ছেন। সকল ইউপি সদস্য মনিটরিং করছে নিজ নিজ ওয়ার্ড। লকডাউনে এই ইউনিয়ন যেন একটি মডেলে রুপান্তরিত হয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন বলেন উক্ত চেয়ারম্যান আমাদের সকল নির্দেশনা সহ সরকারের বিধিনিষেধ কার্যকর রাখতে জনগনের কল্যাণেই নিবেদিত হয়ে কাজ করছেন। পুলিশ বাহিনী সহ সামরিক বাহিনীকে আর সেই ইউনিয়ন তদারকিতে সময় দিতে হচ্ছে না। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার বলেন আমার এলাকার জনগন আমার প্রিয় দেশের সম্পদ, আমি আমার ইউনিয়নের একজন মানুষের ও এক বিন্দু ক্ষতি হতে দিতে চাইনা। কেউ এই মুহুর্তে অভিমান বা সমালোচনা করতে চাইলে ও এটিই আমার ভালবাসা। আমার হাত জোড় করে আরজি জানাচ্ছি সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আর কিছুদিন সবাই ঘরে থাকুন। সবাই সুস্থ থাকুন। আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত চেয়ারম্যান সকাল থেকে বিকেল ও রাতে হাটবাজার দোকানপাট সব কিছু নিস্প্রাণ হবার এবার কার ঘরে খাবার নেই তা ও খোঁজ নিচ্ছেন। সরকারের প্রদান করা সামগ্রী বিতরণ ব্যতিরেকে যাঁরা বলতে পারছেন না তাঁদের ঘরে ও নীরবে পৌছে দিচ্ছেন খাবার। এছাড়া করোনার আগ্রাসনের শুরুতে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির চেষ্টা কালে দ্রব্যদূল্য নিয়ন্ত্রনে ও মাঠে ভূমিকা রেখেছেন জনগনের পক্ষে।