শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে জমে উঠছে ঈদের বাজার

12346

 

এম.ইমাম হোসেনঃ  ঈদ মানেই খুশি অফুরান। মুখরোচক খাবার-দাবার, ঘোরাঘুরি আর নতুন পোশাকের গন্ধে মাতোয়ারা হওয়া যেন ঈদের আরেক অর্থ। মুসলমানদের এই প্রধান ধর্মীয় উৎসবে আয়োজনটা একটু বেশিই থাকে। বেশ আগ থেকেই শুরু হয় ঈদের কেনাকাটা। ঈদের আগে একমাস জুড়ে সিয়াম সাধনা যেমন চলে, তেমন খুশির দিনে রঙিন হওয়ার জল্পনা কল্পনাও চলে পুরোদমে। তাইতো রমজানের কয়েকটা দিন যেতে না যেতেই পূর্ণ উদ্যামে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। মীরসরাইয়ে বিভিন্ন বিপনি বিতান গুলোতে শুরু হয়েছে উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে বিক্রি তেমন না দেখা গেলেও ইফতারের আগেই বেচা-বিক্রির ভিড় বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মীরসরাইয়ে কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। মীরসরাইয়ে বারইয়ারহাট,মিঠাছরা,বড়তাকিয়া,আবু-তোরাব সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের নজর কাড়তে দোকানের সাজসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের রঙিন বাতি, অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা সংবলিত রঙিন ব্যানার, বিভিন্ন ধরনের অপারের পোস্টার দিয়ে সাজিয়ে রাখছেন তারা। এসবের ফাঁক দিয়েই হয়তো উঁকি মারছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ। এ মার্কেট গুলোতে শিশু ও তরুণীদের জন্য ফ্রক, জিপসি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিস, ফ্লোরটাচ, সিনথেটিক ফ্রক, কিরনমালা, সাবারিয়া জামা বিক্রি হচ্ছে। এ পোশাকগুলো দাম এক থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে। শাড়ির ক্ষেত্রে আছে গ্যাস সিল্ক, দোতারি সিল্ক, সিল্ক জামদানি, লেহেঙ্গা শাড়ি, টাঙ্গাইলের সুতি কাতান, স্বর্ণকাতান ও বেনারসি কাতান। ছেলেদের জন্য প্যান্ট ও শার্টের পিস পাঁচশ থেকে  হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ম রমজান থেকে প্রতিদিন বেচা বিক্রি বেড়ে চলছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে ঈদের বিকিকিনি পুরোদমে জমে উঠবে। প্রতিবছরই ঈদ উপলক্ষে বাজারে আসে বাহারি নাম ও ডিজাইনের রঙ বেরঙের পোশাক-পরিচ্ছদ। আবু তোরাব রফ রফ ফ্যাশানের নতুন কালেকশান রয়েছে সারারা, ড্যান্সিং স্টার, বাজরঙ্গি ভাইজান, শাড়ি লেহেংগা, লংকটি, গ্রাউন স্টাইল, বিন্দাজসহ মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক। এখানকার বিক্রয় প্রতিনিধি মো.মিজান জানান, এসব পোশাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে তরুণীদের কাছে বেশি প্রিয় পোশাক সারারার কাটতি। এসব পোশাকের মূল্য দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া এ দোকানে নারীদের পোশাকের মধ্যে ফ্লোরটাচ, সিংগেল কটি, আওয়ারাসহ বিভিন্ন পোশাক ভালো বিক্রি হচ্ছে। এ মার্কেটের নিত্যসাজ দোকানে ছোট বাচ্চাদের জামা-কাপড়ের মধ্যে আছে মেয়ে বাচ্চোদের পার্টি ফ্রক ৫শ থেকে ২ হাজার টাকা দামের। প্লাজো সেট ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, স্কার্ট ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা, সুতি ফ্রক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে, গাউন সেট ৮০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। ছেলে বাচ্চাদের মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে মোদি সেট, বাবা সেট, জিন্স প্যান্ট, টি শার্ট। এসব পোশাক ৫ থেকে ৭শ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বড়দের থ্রিপিস, গাউন, লেহেঙ্গা, রাউন্ড ফ্রকের বেশ কদর রয়েছে বলে জানালেন নিত্য সাজের বিক্রয় প্রতিনিধি মোশারফ। বর্তমানে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদের আগে বাজার জমলে বিক্রি অনেক বেড়ে যাবে। ঈদের বাজার জমে উঠলে ছোট দোকান গুলো ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি করলেও বড় দোকান গুলোতে বিক্রি হয় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। এদিকে নিখুত শিল্প মালিক রাসেল জানান, বেচা-বিক্রি এখনও তেমন জমে নাই। তবে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্রি কম হলেও ইফতারের আগে বিক্রি কয়েকগুন বেড়ে যায়। এখন পযর্ন্ত শিশুদের পোশাক আইটেমই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে ১০ থেকে ১৫ রোজার পর বড়দের পোশাকও বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করছেন এই বিক্রেতা।