শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে জুয়েলার্স দোকানে ৩০০ ভরি স্বর্ণালংকার লুঠ

samim juyelars

খবরিকা ডেস্ক:

গতাকাল সন্ধ্যায় মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট বাজারে বোমা পাটিয়ে একটি স্বর্ণের দোকান লুঠ করেছে দুর্বৃত্তরা । দুর্বৃত্তরা স্থানীয় শামীম জুয়েলার্স থেকে ৩০০ ভরি স্বর্ণ লুঠ করে নিয়ে যায়। সে জন্য আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)  সকাল থেকে বারইয়হাট বাজারে ব্যবসায়ীরা মানববন্দন কর্ম সূচীর আয়োজন করেন। ব্যবসায়ীরা মানববন্দনে দাবী করেন সিসি ক্যামেরায় দুর্বৃত্তদের সনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করে সঠিক বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে। মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তরা প্রায় ৩০টি ককটেল বিষ্ফোরণ ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে বলে ।  এত কেউ নিহত না হলেও ককটেলের আঘাতে আহত হয়েছেন শিশু সহ অন্তত ১০ জন। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মাগরিবের আযানের পর অন্যন্য ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা মসজিদে চলে যায়। ঠিক এই সময়ে দুর্বৃত্তরা মসজিদ গলিতে ককটেল ফাটিয়ে তান্ডব সৃষ্টি করে। ্ওই গলির সব চেয়ে বড় স্বর্ণের দোকান শামীম জুয়েলার্স। কিছু যুবক এই দোকানে ডুকে যায়। অন্যরা অস্ত্র হাতে নিয়ে অপেক্ষা করে বাইরে। উপর্যপুরি ককটেলের আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা এদিকসেদিক ছুটতে থাকে। অনেকে দোকান বন্ধ করে দেয়। এই সুযোগে শামীম জুয়েলার্স এর স্বর্ণালংকার নিয়ে নিরাপদে চলে যান ডাকাতদল।
ডাকাতির বিষয়ে দোকান মালীকের পুত্র সাইফুল ইসলাম বাপ্পি জানান, হঠাৎ কিছু অজ্ঞাত যুবক দোকানে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে একজন ছিল মুখোশ পরিহিত। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ও কিরিচ। তারা অস্ত্রের মুখে আমাদের সবাইকে জিম্মি করে রাখে। তাদের সাথে নিয়ে আসা ব্যাগে দোকানের সকল স্বর্ণালংকার ভরে নেয়। এর পর দ্রুত মহাসড়কে গিয়ে ফেনীর দিকে চলে যায়। লুঠ করা স্বর্ণের পরিমাণ ছিল ৩০০ ভরি।
ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জোরাগঞ্জ থানার ওসির তদন্ত আনোয়ার হোসেন ও সেকেন্ড অফিসার বিপুল দেবনাথ। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই বিপুল বলেন, এই ব্যাপারে আমরা ব্যপক তদন্ত শুরু করেছি। ইতি মধ্যে ভিডিও ফুটেজ থেকে আমরা অপরাধীকে সনাক্ত করে তাদের আটকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আশে পাশের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগেও শামীম জুয়েলার্সের মালিক সাহাবউদ্দিন কোম্পানির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এই বার প্রকাশ্যে দোকান ডাকাতি হয়েছে।

ডাকাতদলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বারইয়ারহাট বাজারে দফায় দফায় বাজার ব্যবসয়ীরা মানববন্দনের আয়োজন করেছেন। তাদের একটাই দাবি ভিডিও ফুটেজ থেকে অপরাধীদের সনাক্ত করে দ্রুত আটক করে শাস্তি ও ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা করা।

শামীম জুয়েলার্স এর মালিক মানববন্ধনে বলেন, এই ব্যবসার জন্য আমি প্রচুর টাকা ঋন নিয়। এখনো আমার ২৫ লক্ষ টাকা ঋন আছে। আমি যদি লুঠ হয়ে যাওয়া স্বর্ণালংকার না পাই তাহলে আমাকে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় নেমে যেতে হবে।