নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যেসব বিদেশী শ্রমিক সৌদি আরবে ধরা পড়বেন তাদেরকে স্ব স্ব দেশে ফেরত পাঠাবে সৌদি আরব।যারা ধরা পড়বে তারা ভবিষ্যতে আর সৌদি আরবে যেতে পারবেন না। কারণ, সৌদি আরব ছাড়ার আগে তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ রাখা হবে। কাগজপত্র নেই এমন কেউ ধরা পড়লে তাদেরকে তার দেশের দূতাবাসে নেয়া হবে। তারা যদি তাকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তাহলে তাকে দেশে পাঠানো হবে। এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন, সৌদি আরবে শ্রমবিষয়ক উপমন্ত্রী মুফ্রেজ বিন সাদ আল হাকবানি। বেশ কিছু দূতাবাসের অনুরোধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওইসব দূতাবাস বলেছে, অনেক নাগরিক এখনও সৌদি আরবে আছে যাদের কাছে মূল কাগজপত্র নেই। তা প্রমাণ করার মতো কাগজও তাদের কাছে নেই। এরই প্রেক্ষিতে শ্রম মন্ত্রণালয় এতটুকু ছাড় দিয়েছে। আল হাকবানি বলেন, বিদেশীরা সৌদি আরবের আইন মেনে বৈধভাবে এখানে থাকুন আমরা তা-ই চাই। এ জন্য ইন্সপেক্টররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাবেন। তারা শ্রমিকের কাগজপত্র চেক করে দেখবেন। যেসব প্রতিষ্ঠানে তারা যাবেন তার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, ব্যবস্থাপনাবিষয়ক অফিস, খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান, ক্যাটারিং কোম্পানি, ক্যাফে ও বিদেশীরা যে এলাকায় বেশি থাকেন সে সব এলাকা। যারা পবিত্র হজ, ওমরাহ করতে গিয়েছেন অথবা যারা চিকিৎসার জন্য সৌদি আরবে গিয়ে নির্ধারিত মেয়াদের অতিরিক্ত সেখানে অবস্থান করছেন তারা তদন্তের মুখোমুখি হবেন। অবৈধ শ্রমিক বা আইন অমান্যকারীদের গ্রেপ্তারের পূর্ণ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ইন্সপেক্টর ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বৈধ শ্রমিক রাখতে বলা হয়েছে। তবে এ সুযোগে অনেক অসাধু চক্র ভুয়া ইন্সপেক্টর সেজে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে পারে। এ বিষয়ে জেদ্দার পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বিদেশীদের হুঁশিয়ার করেছে। জেদ্দা পুলিশের মুখপাত্র নাওয়াফআল বুক বলেছেন, সরকার যেসব ইন্সপেক্টরকে নিয়োগ দিয়েছে তাদের পরনে থাকবে নির্ধারিত সরকারি পোশাক, থাকবে পদ উল্লেখ করা পরিচয়পত্র। তাদেরকে কোন বাসাবাড়িতে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়নি।