শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ৩০ জানুয়ারি

full_824075360_1389597129

৩০ জানুয়ারি বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার বিকেলে আসামি পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ হওয়ার পর এর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মুজিবুর রহমান।২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক হওয়ায় পর এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়। ওই দুই মামলায় জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ডিজিএফআই এবং এনএসআইয়ের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসামি।চট্টগ্রামের ইউরিয়া সার কারখানার (সিইউএফএল) জেটিতে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে। ঘটনার পর কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা করতে গেলে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে তত্কালীন পুলিশ কমিশনার সাব্বির আলী বাধা দেন। পরে ওসি অস্ত্র আটক ও অস্ত্র চোরাচালান আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। তিনি বলেন, চীন থেকে এসব অস্ত্র আনা হয়েছিল ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য। অস্ত্রের চালানটি খালাস হয়েছে সংরক্ষিত এলাকা সিইউএফএল জেটিতে। তত্কালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ইচ্ছায় গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যে অস্ত্রগুলো দেশের জলসীমা ব্যবহার করে আনা হয়, যা সাক্ষীদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও সাক্ষ্যে উঠে এসেছে।অস্ত্র উদ্ধারের দুই মাস পর ওই বছরের জুন মাসে এ-সংক্রান্ত দুটি মামলার অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। দুই মামলায়ই স্থানীয় চোরাচালানি হাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। বাকিদের প্রায় সবাই স্থানীয় পরিবহনের মালিক ও শ্রমিক।২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলা দুটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর ২০১১ সালের ২৬ জুন সিআইডি উভয় মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় আদালতে। তাতে নতুন করে ১১ জনকে আসামি করা হয়।কারাবন্দী আসামিরা হলেন, সম্পূরক অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার, পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) শাহাবুদ্দিন আহমদ, উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান এবং সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এনামুল হক কারাগারে আছেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নুরুল আমিন ও ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সামরিক শাখার প্রধান পরেশ বড়ুয়া এখনো পলাতক।
এ ছাড়া প্রথম অভিযোগপত্রভুক্ত প্রধান দুই আসামি স্থানীয় চোরাচালানি হাফিজুর রহমান ও দীন মোহাম্মদ কারাগারে আছেন। বাকিরা জামিনে আছেন।

Leave a Reply