নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আজ মঙ্গলবার ইতিহাসের জঘন্যতম বিডিআর হত্যাযজ্ঞ মামলার রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের হরতালের মধ্যেই ইতিহাসের জঘন্যতম বিডিআর হত্যাযজ্ঞ মামলার রায় ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০ অক্টোবর। আদালত গত ৩০ অক্টোবর পরবর্তী রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আজ মঙ্গলবার ৫ নবেম্বর। বিডিআর হত্যা মামলার রায় ও আঠারো দলীয় জোটের হরতাল-এই দুই কারণে রাজধানীর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। আদালতের প্রতিটি প্রবেশদ্বারে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হচ্ছে। যেসব জেলে বিডিআর জওয়ানরা রয়েছে সেসব কারাগার, লালবাগের অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত আর আদালতে প্রবেশের রাস্তাগুলোতে থাকছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হয়। বিদ্রোহীরা অস্ত্রাগার লুট করে সশস্ত্র বিদ্রোহে অংশ নেয়। টানা ২ দিনের বিদ্রোহে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় পিলখানায়। বিদ্রোহীরা ৫৮ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে ৫৭ জনই সেনা কর্মকর্তা। হত্যার পর দ্রুত লাশ গুম করতে মৃতদেহগুলো ড্রেনে, ম্যানহোলে ও নর্দমায় খুবই আপত্তিকর অবস্থায় ফেলে দেয়া হয়। লালবাগ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবজ্যোতি খীসা বাদী হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায়ই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পিলখানা নিউমার্কেট থানার অধীক্ষেত্র এলাকা হওয়ায় পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে ৭ এপ্রিল মামলাটি লালবাগ থানা থেকে নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডিকে।