রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

থাইল্যান্ড গেলেন মায়া

image_86131.06_41016

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া থাইল্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশে দেশত্যাগ করেছেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। যথারীতি তিনি মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে পর পর তিনটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন মায়া। নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে মায়ার পরিবারের সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর থেকে তিনি মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুপস্থিত থাকছেন।
মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করেই সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেননি মায়া। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভা বৈঠকে কত দিন অনুপস্থিত থাকলে মন্ত্রিত্ব থাকবে না, এ বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই।’মায়ার বিদেশ সফর সম্পর্কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ওমর ফারুক দেওয়ান জানান, ‘মন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার দুপুর ১২টায় থাইল্যান্ড গেছেন। তিনি ২২ মে দেশে ফিরবেন।’
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। পরে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাঁদের লাশ পাওয়া যায়। এ অপহরণ ও হত্যার জন্য র‌্যাবকে দায়ী করে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ৪ মে সাংবাদিকদের বলেন, কাউন্সিলর নূর হোসেন অর্থের বিনিময়ে র‌্যাবকে দিয়ে তাঁর জামাতাকে হত্যা করিয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র‌্যাব-১১-এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল তারেক সাঈদসহ তিন কর্মকর্তাকে র‌্যাব থেকে সরিয়ে নিজ বাহিনী থেকেও চাকরিচ্যুত করা হয়। লে. কর্নেল তারেক সাঈদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা।
তারেকের বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভা থেকে মায়ার পদত্যাগেরও গুঞ্জন ওঠে। আদালত চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পরে তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। এখন রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ৯ মে এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিজের পরিবারের কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেন এই মন্ত্রী।