সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ব্যারেল বোমায় ১৫ দিনে ৫১৭ জন নিহত

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর আকাশ হামলায় ৫১৭ জন নিহত হয়েছে বলে সরকারবিরোধী একটি পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী দাবি করেছে। সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এসব হামলায় বিশেষভাবে তৈরি ব্যারেল বোমা ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৪৬ জন ও শিশু ১৫১।
আলেপ্পোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও বিরোধী বিদ্রোহীদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবেই তুমুল লড়াই চলছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নরওয়েজিয়ান একটি বাহিনী সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে। দেশটির রাসায়নিক অস্ত্র সিরিয়ার লাতাকিয়া বন্দর থেকে ইতালির দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে আন্তর্জাতিক পানিসীমায় রাসায়নিক অস্ত্রগুলো ধ্বংস করার কথা রয়েছে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আলেপ্পোয় আকাশপথে ধারাবাহিকভাবে ব্যারেল বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বাইরের শক্তিকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছে। গোপন সূত্রে ঘটনাস্থল থেকে তথ্যসংগ্রকারী এই মানবাধিকার গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, গত দুই সপ্তাহে নিহতদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। নিহতদের মধ্যে বিদ্রোহী রয়েছেন ৪৬ জন।সর্বশেষ শনিবার আলেপ্পোর একটি সবজি বাজারের ওপর হামলা চালিয়ে ২৫ জনকে হত্যা করা হয়। ইন্টারনেটে স্থানীয় মানবাধিকার গোষ্ঠী ইনসান রাইট ওয়াচের পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পুড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন লাশ বের করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি রাস্তা আশপাশের ভবনের ধ্বংস্তূপে ঢেকে গেছে, এরই মধ্যে একপাশে নিহতদের লাশ সারি বেধে শুইয়ে রাখা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিতে এক তরুণ চিৎকার করে গাড়ি আনতে বলছেন।তবে ভিডিওতে দেখানো ঘটনাগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, শনিবারের ব্যারেল বোমা হামলায় অন্তত চার শিশুসহ ২৫ জন নিহত হয়েছেন। ওই বোমার আঘাতে একটি হাসপাতালের কিছু অংশও বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।সিরীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের সবচেয়ে বড় শহর ও এক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র আলেপ্পোর অধিকাংশ স্থান দখল করে রাখা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা।
উৎস- যুগান্তর

Leave a Reply