সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

আমিরাতে মুনিরীয়া তরিক্বতের মাহফিলে প্রবাসী মুসল্লিদের জনস্রোত

1381_n

মনির উদ্দিন মান্না(আরব আমিরাত প্রতিনিধি; মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র পবিত্র বেছাল শরীফ স্মরণে সালানা ওরছে হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং জমানার রাবেয়া বসরী, ফাতেমায়ে ছানী রূহানী আম্মাজান রাহমাতুল্লাহি আলাইহা এর সালানা ফাতেহা শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত ঈসালে ছাওয়াব ও এশায়াত মাহফিলে প্রবাসী মুসল্লিদের উপস্থিতে জনস্রোতে রূপ নেয়। শুক্রবার (১৯ মে) দুবাই ডাসকু ক্লাবে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের পীর ছাহেব, আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব শাহ্ছুফি অধ্যক্ষ আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। আমিরাতের সবচেয়ে বড় এই জামায়াতে আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, রাস আল খাইম, উম্মে আল কুইন ও ফুজিরাহ থেকে আসা স্থানীয় আরবী, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উপস্থিতিতে মাহফিল প্রাঙ্গন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। মুসলিম মিল্লাতের জন্য রেখে যাওয়া তরিক্বতের মাধ্যমে হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কীর্তি আজীবন চির অম্লান হয়ে থাকবে উল্লেখ করে প্রধান মেহমান উপস্থিত মুসল্লিদের বলেছেন, মুসলিম নর-নারীর জীবন বিধান হল কুরআন ও সুন্নাহ। কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যারা দুনিয়াবী জীবন অতিবাহিত করে তারাই প্রকৃত ঈমানদার। আর ঈমানদাররা সফল ও সৌভাগ্যবান। আজ সারা বিশ্বে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সয়লাব, যার আক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে মুসলিম সমাজ। একদিকে কু-প্রবৃত্তি, অন্যদিকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি এ যেন মুসলিম যুবক-যুবতীর চরিত্রের উপর হায়েনার কালো থাবা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা, নফসকে দমন করা, চরিত্র পবিত্র রাখা। আর এজন্য আবশ্যক কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর জীবন নিয়ে গবেষণা করা। যিনি নিভৃত পল্লীতে আগমন করে বিশ্বব্যাপি মুসলিম যুব সমাজের মাঝে আধ্যাত্মিক বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তার অনুসারীরা অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা, লন্ডনের মত দেশে ইসলামী অনুশাসন মেনে তরিক্বতের আবরণে শরীয়তের প্রচার-প্রসার করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর রূহানী ক্ষমতা এতই প্রখর যে, তার একটি তাওয়াজ্জুহ যুবকের ক্বলবে আল্লাহ ও তার প্রিয় হাবীব ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার ভালোবাসার জোয়ার সৃষ্টি হয়। তার তাওয়াজ্জুহতে অতিক্রম করতে পারে রূহানী জগতের অনেক সুক্ষ্ম ধাপ।

18644595_1812086339109873_98353196_n

এছাড়া বিশ্বব্যাপী শান্তি, শৃঙ্খলা, ইসলামের চির সত্য বাণী পৌঁছে দেয়ার জন্য তিনি গঠন করেছেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। তিনি উদাত্ত কণ্ঠে ডাক দিয়েছে-‘হে যুবক নামাজ পড়, রোজা রাখ, নবী (দঃ)’র উপর দরূদ পড়, মাতৃভূমি শান্ত কর।’ দেশ, জাতি ও মুসলিম মিল্লাতের জন্য রেখে যাওয়া তরিক্বতের মাধ্যমে হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কীর্তি সারা বিশ্বের মুসলিম মিল্লাতের কাছে আজীবন চির অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি মুসলিম নেতৃবৃন্দকে এ মহান মনীষীর দর্শন অনুসরণ করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান। আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ সিকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন কমিটির শারজাহ শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম, সচিব মাওলানা মাহাবুবুল আলম বোগদাদী, মাওলানা সেকান্দর বারী প্রমুখ। মাহফিল শেষে প্রধান অতিথি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও উপস্থিত সকলের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন