নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ লোকালয়, জনপদ, রাস্তাঘাট, হাটবাজার সব ভাসিয়ে অবশেষে গতকাল সোমবার বিকেল থেকে সূর্য উঁকি দিয়ে আজ মঙ্গলবার আলোর মুখ দেখলো চট্টগ্রামের মীরসরাই সহ বিভিন্ন স্থানের আকাশে।
গত ৫ দিনের টানা বর্ষনে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সৃষ্ট বন্যায় লক্ষ প্রায় মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার। লাগাতার বর্ষন আর বন্যা চৌচির করে ধ্বসে দিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার ভালো খারাপ সকল রাস্তাঘাট।
মীরসরাই উপজেলান নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন, পৌর মেয়র এম শাহজাহান ও বিভিন্ন ইউনিনের চেয়ারম্যানরা কিছু কিছু এলাকায় শুকনো খাবার নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ালে ও নিতান্তই তা নামে মাত্র।
এদিকে উপজেলার সর্বত্র রাস্তাঘাট গুলোর অবস্থা বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। অনেক স্থানে ভালো রাস্তা ও ধ্বসে গেছে। আর খারাপ এবং ভাঙ্গাচোরা রাস্তাগুলো তো চলাচলেরই অযোগ্য গয়ে গেছে।
উপজেলার মিঠাছরা – বামনসুন্দর সড়ক, ঠাকুরদীঘি – কাটাছরা সড়ক, মীরসরাই পৌর সদর হয়ে বয়ে যাওয়া – ফটিকছড়ি সংযোগ সড়ক, জোরারগঞ্জ- মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক, সমিতিরহাট- ভোরেরবাজার সড়ক সহ অসংখ্য রাস্তাঘাট দিয়ে কোন প্রকার যানবাহন ও
জন চলাচল অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।
আর অনেক স্থানে বিশেষ করে মীরসরাই পৌরসভা ও বারইয়াহাট পৌর সভার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ধ্বসে গিয়ে ইট সুরকিট, মাটি বালি সবই জলে ভেসে গেছে। কোথাও কোথাও খাল রাস্তা সব ভেঙ্গে জমিতে পতিত হয়েছে।
এীরসরাই পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের উপজেলা ষ্টেডিয়াম ও কলেজ রোডের অবশিষ্ট ভালো অংশ ও ধ্বসে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্তে। নোয়াপাড়া সড়ক, তালবাড়ীয়া সড়ক, আমবাড়ীয়া সড়ক সহ, দুর্গাপুর, খৈয়াছরা, হাইতকান্দি, সাহেরখালী, মঘাদিয়া, করেরহাট, হিঙ্গুলী, ধূম, ওয়াহেদপুর, ইছাখালী, সাহেরখালী সর্বত্র রাস্তাঘাট চৌচির হয়ে বেহাল দশা হয়ে জনজীবনে দূর্ভোগের সৃষ্টি করেছে।
এর থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন সরকারের প্রশাসনিক পর্যায়ে বিশেষ উদ্যোগ। এই বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান বলেন আমি গৃহায়ন ও গনপূর্তমন্ত্রীর সাথে উপজেলায় বন্যা পরবর্তি উন্নয়ন পদক্ষেপ নিয়ে সার্বিক উদ্যোগ নিবো শীঘ্রই। তিনি বলেন প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিতে ও তিনি আমায় দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানান তিনি।