সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

4_321393

 

ইউরোপের দেশগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে ১ লাখ ৬০ হাজার শরণার্থী নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শরণার্থী সংকট সামাল দিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাংকার বুধবার এ প্রস্তাব দিয়েছেন।সংকট মোকাবেলায় ইউরোপের দেশগুলোকে সহজ, সংকল্পবদ্ধ আর সমন্বিত পদক্ষেপ নিতেও কমিশনের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ক্লদ। ১৪ সেপ্টেম্বর ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।এর আগে মে মাসে কমিশনের বৈঠকে ৪০ হাজার শরণার্থী গ্রহণ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তার সঙ্গে এবার যোগ হবে আরও ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী। ক্লদ জানান, এখন অভিবাসী বা শরণার্থী নিয়ে দ্বিধা বা ভয়ের সময় নয়।বিবিসি জানায়, স্টেট অব দি ইউনিয়নের বার্ষিক বক্তৃতায় ইউরোপীয় কমিশনের প্রায়োধিকার তুলে ধরার সময় কমিশনের প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণা এলো। বক্তব্যের শুরুতেই ক্লদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন ভালো পরিস্থিতিতে নেই, ইউনিয়নের ভেতর ইউরোপের অনুপস্থিতি রয়েছে, আর ইউনিয়নের ভেতর নেই ঐক্য। শরণার্থী সংকট সমাধানের বিষয়টিকে তিনি মানবিকতা আর মানবিক আচরণ বলে বর্ণনা করেন। ক্লদের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, মে মাসে প্রত্যেক দেশের ৪০ হাজার শরণার্থী নেয়ার যে প্রস্তাবনা ছিল, প্রতিটি দেশ তার অতিরিক্ত আরও ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী গ্রহণ করবে। যদিও তখন দেশগুলো মাত্র ৩২ হাজার শরণার্থী গ্রহণে সম্মত হয়েছিল। প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় এখন ইতালি, গ্রিসে আর হাঙ্গেরিতে থাকা শরণার্থীদের অন্তত ৬০ শতাংশ জার্মানি, ফ্রান্স আর স্পেন গ্রহণ করবে। এছাড়া বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা, বেকারত্ব হার আর বর্তমান শরণার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় দেশগুলোর কোটা নির্ধারণ করা হবে। কোনো দেশ শরণার্থী গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে আর্থিক জরিমানার বিধান থাকবে। ভবিষ্যতে এ রকম সংকট সহজ আর ঠিকভাবে সমাধানে স্থায়ী কার্যব্যবস্থা গড়ে তোলারও প্রস্তাব দিয়েছেন ক্লদ।প্রস্তাবনা অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোয় অভিন্ন আর শক্তিশালী শরণার্থী আশ্রয়নীতি তৈরি করা হবে। এছাড়া ‘তথাকথিত’ ডাবলিন সিস্টেম, যে নীতিতে শরণার্থীদের তাদের প্রথমে আসা দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদন করতে হয়, সেই নীতি পুনর্বিবেচনারও প্রস্তাব করেছেন তিনি।এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, শরণার্থীদের সিংহভাগই যুদ্ধবিধ্বস্ত ও সংঘাতময় দেশগুলো থেকে এসেছেন। তাদের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এখানে কোনো বৈষম্যের সুযোগ নেই।১২ হাজার শরণার্থী নেবে অস্ট্রেলিয়া : সিরিয়া ও ইরাক থেকে অতিরিক্ত ১২ হাজার শরণার্থী নেবে অস্ট্রেলিয়া। বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট একথা জানান। ক্যানবেরায় অ্যাবোট সাংবাদিকদের বলেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিয়া ও ইরাক যুদ্ধে সর্বস্ব হারানো আরও অতিরিক্ত ১২ হাজার শরণার্থীকে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করবে।তিনি জানান, যেসব জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হয়ে জর্ডান, লেবানন ও তুরস্কে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছে সেসব নারী ও শিশুর নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।