রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

সেরা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ গাজর

gajor

শীতকালীন নানা সবজির মধ্যে গাজর অন্যতম। বাহারি রঙের এই সবজিটি পুষ্টিগুণে সেরা।
কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি নানা রকম সৌখিন রান্নায় গাজরের ব্যবহার চলে। গাজরের হালুয়া বা পায়েসের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আকর্ষণীয় রঙ আর স্বাদের জন্য ছোট বড় সবার কাছেই এই সবজিটি প্রিয়। গাজরে প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আমাদের শরীর ও ত্বক- দুটির জন্যই এর পুষ্টি খুবই উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে আছে ক্যারোটিন ১০, ৫২০ মাইক্রোগ্রাম, শর্করা ১২.৭ গ্রাম, আমিষ ১.২ গ্রাম, জলীয় অংশ ৮৫.০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭.০ মি. গ্রাম, আয়রণ ২.২ মি গ্রাম, ভিটামিন বি১ ০০.০৪ মি. গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০৫ মি. গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, ভিটামিন সি ১৫ মি. গ্রাম, আঁশ ১.২ গ্রাম, অন্যান্য খনিজ ০.৯ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৫৭ ক্যালরি। এসব উপাদান আপনার সুস্থতায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

– গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন যা আমাদের লিভারে গিয়ে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। পরে সেটি চোখের রেটিনায় গিয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি রাতকানা রোগেও গাজর একটি আদর্শ খাদ্য উপাদান।

– গাজরের কিউমেরিন উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

– এতে পর্যাপ্ত পরিমানে থাকা খাদ্যআঁশ আপনার হজমশক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এড়াতেও গাজর উপকারী।

– নানা রকম পরীক্ষায় দেখা গেছে গাজর স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। গাজরের বিদ্যমান ফ্যালক্যারিনল ও ফ্যালক্যারিডিওল উপাদান ক্যানসারের ক্ষতিকর কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে। সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তত একটি করে গাজর রাখতে পারেন।

– কাট ছেড়ার সংক্রমণ রোধে গাজর খুবই উপকারী। খানিকটা গাজর ব্লেন্ড করে কাটা জায়গায় লাগিয়ে দিলেও উপকার পাবেন।

– গাজরে থাকা ক্যারোটিনয়েড হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

– আপনার দেহের বাড়তি ওজন কমানোর জন্য গাজরকে ডায়েট হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

– ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও পটাশিয়াম না থাকায় ত্বক এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়। এই শীতে গাজরের জুস খেলে ত্বক থাকবে নরম, কোমল আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

– নিয়মিত গাজর খেলে সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক ভালো থাকবে। গাজর খেলে বাহ্যিক ক্ষতি থেকে ত্বক রক্ষা পায় এবং ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।

– গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যেগুলো ত্বককে ব্রণ থেকে রক্ষা করে। এমনকি ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় গাজরের রস লাগালে উপকার পাওয়া যায়।