রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের দাবিতে আল্টিমেটাম

hefajot_154332
নিউইয়র্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম  আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি করেছে। একই সঙ্গে তাকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজত ইসলাম। তা না হলে তাকে দেশের মাটিতে পা রাখতে  দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছে তারা।
সোমবার বিকেলে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান
নিউইয়র্কে লতিফ সিদ্দিকী এক মতবিনিময় সভায় বলেন, ‍আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।
বিবৃতিতে বলা হয়,পবিত্র হজ ও হাজিদের কটাক্ষ ও মহানবী (সা.)-কে বিদ্রূপাত্মক ভাষায় তাচ্ছিল্য করার স্পর্ধা দেখিয়ে মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিউ ইয়র্কে যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন, তা কেবল একজন উগ্র নাস্তিকের পক্ষেই সম্ভব। আমরা অবিলম্বে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
বিবৃতিতে হেফাজতের নেতারা হুমকি দিয়ে বলেন, যদি সরকার তার (লতিফ) বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তবে দেশের লক্ষ-কোটি নবীপ্রেমিক জনতা আবারও ২০১৩ সালের মতো সারা দেশে নাস্তিক-বিরোধী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আওয়ামী লীগ নাস্তিক-মুরতাদদের দল হিসেবে প্রমাণিত হবে বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়।
হেফাজতের নেতারা বলেন, আমরা ক্ষুব্ধ, বিস্মিত এবং লজ্জিত যে, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে গিয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মহানবীর ব্যাপারে জঘন্য কটূক্তি, পবিত্র হজ ও হাজিদের ব্যাপারে চরম আপত্তিকর মন্তব্য এবং তাবলিগ জামাআতের ব্যাপারে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে সাহস পেলেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জন্য সালমান রুশদি ও তাসলিমা নাসরিনের পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে হুঁশিয়ার করে  হেফাজতের নেতারা বলেন,বাংলাদেশের মাটিতে তাকে (লতিফ) পা রাখতে দেয়া হবে না। লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সারা দেশে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, নায়েবে আমির মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা শামসুল আলম, মাওলানা শাহ্ আহমদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা আবদুল মালেক হালিম, মাওলানা তাফাজ্জল হোসাইন হবিগঞ্জ, মুফতি মোজাফফর আহমদ, মাওলানা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুরপুর, মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী।