রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মুহুরী নদীর পাড়ে নবীণ বরণ ও বনভোজন করলো মহাজনহাট এফ আর স্কুল এন্ড কলেজ

নাছির উদ্দিন ঃ
মুহুরী নদীর কোলঘেষে গড়ে উঠা মীরসরাইয়ের পর্যটন এলাকা মুহুরী প্রজেক্ট। যার একপাশে রয়েছে বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র। অন্যপাশে সবুজ ঘাসে বিছিয়ে থাকা বিশাল প্রান্তর। পাশে রয়েছে মুহুরী নদী। নদীর ধারে রয়েছে সারি সারি নৌকা। এই নৌকা বেয়ে জলরাশি উপভোগ করার মজাটাই আলদা। তবে আজ প্রকৃরি মুখ ছিল গোমরা। প্রকৃতির রংছিল বৃষ্টি আর পূবালী হিমেল হাওয়া। প্রকৃতির এই বৈরীতা উপেক্ষা করে কলেজের শিক্ষার্থীরা নাচে-গানে আর হৈ হুল্লোড়ে মেতে উঠে প্রকৃতিকে এক হাত দেখিয়ে দিল।
সোমবার ২৫ ফেব্রুয়ারী সকাল থেকে মীরসরাইয়ের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীট মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির নবীণ বরণ, বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়েজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে ১ম পর্বে ছিল আলোচনা সভা। এতে কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আজমল হোসেনে সঞ্চালনায় অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৪ নং ধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মো. জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, ৫ নং ওচমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার মফিজ উদ্দিন, ব্যবসায়ী মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন প্রমুখ। এসময় নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। তারপর সম্মিলিতভাবে নৌকা ভ্রমন করা হয়। মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে অনুষ্ঠানের দি¦তীয় পর্বে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনার গান ও নৃত্যপরিবেশন করা হয়। পরে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং এতে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনেকটা ভিন্ন ধর্মী নবীণ বরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন জানান, ‘সারা দেশ থেকে মানুষ এখানে আসে বনভোজনে। আমাদের মীরসরাইয়ের এসব পর্যটন এলাকা রেখে আমরা কেন বাইরে যাবো। এছাড়াও বাইরে গেলে সকল শিক্ষার্থী হয়তো আর্থিক, সামাজিক এবং পারিবারিক কারণে যেতে পারে না। আমি চাই আমার কলেজের যেসকল শিক্ষার্থী আছে, সবাইকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে। তাই কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে প্রকৃতির সাথে মিলিত হয়ে আনন্দ করতে।’ এদিকে অনুষ্ঠানে স্কুল ও কলেজ শাখার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।