একদিকে সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে চালিয়ে যাচ্ছে নিরন্তর চেষ্টা আর অপর দিকে কিছু অসাধু চক্র সামান্যতম লাভের জন্য হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে দেশের সম্পদ নির্মাণাধীন ফোরলেন সড়ক।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলার কিছু স্থানে মহাসড়ক নিকটবর্তী ছরা ও খাল থেকে চলছে অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বালি উত্তোলন। কিছু অসাধু চক্রের এই বালি উত্তোলনের কারণে বছর না ঘুরতেই ধসে যেতে পারে ফোরলেন এর বিভিন্ন অংশ।মীরসরাই উপজেলার গড়িয়াইশ, পূর্ব দুর্গাপুর, সোনাপাহাড়, মহামায়া ছরা, খৈয়াছরা, গোভানিয়া, কলঘর নিচিন্তা খালে প্রতিনিয়ত সদ্য নির্মাণ করা মহাসড়কের পাশের খাল থেকেই অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করছে। অনেক সময় ট্রাকে বালি বোঝাইকালে কর্মরত শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানায় আমরা শুধু দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করছি।এই সব বালি কারা বিক্রি করছে তা জানাতে পারেনি। বিভিন্ন স্থানে এই রকম ভিন্ন ভিন্ন সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচেছ এই অবৈধ বালি বিক্রির কাজ। অথচ কর্মরত অবস্থায় শ্রমিকরা মহাসড়কের পাশে যে ছরা থেকে বালি উত্তোলন করছে। মহাসড়কের দুই পাশের ছরা থেকেই বালু তুলে মহাসড়কের উপরেই খোলা রাস্তায় এনে স্তূপ করে সেখান থেকে ট্রাক বোঝাই করে বিক্রি করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব দুর্গাপুর, মিঠাছরা, সোনাপাহাড়, ছরারকূল সহ কয়েকটি এলাকায় সদ্য নির্মানাধীন ফোরলেন অংশও রেহাই দিচ্ছে না।এতে করে মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ফোরলেন সম্পন্ন হলে গাড়ির গতি বৃদ্ধিপাবে অনেক গুণ। তখন এসব স্থানে রাস্তার পার্শ্বে মাটি না থাকলে বেড়ে যাবে দুর্ঘটনার আশংকা। আবার এই সব ছরা কিংবা খাল থেকে বালি উত্তোলনের জন্য রয়েছে উপজেলা ভূমি বিভাগের নির্ধারিত নিয়ম নীতি। মানছে না কেউ এইসব নিয়মকানুনও এই বিষয়ে এসিল্যান্ড ফজলে এলাহী অলির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে ফোরলেন বিভাগ আমাদের অবহিত করলে আইনগত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।এই বিষয়ে ফোরলেন এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন পৃথক টীম কাজ করছে কোথাও এমন ঘটনা দেখলেই দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।