রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে লাইনম্যানকে হঠিয়ে অটোরিক্সা থেকে চাঁদা উত্তোলনের প্রতকিার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
মীরসরাইয়ের বারইয়ারহাটস্থ রামগড়-খাগড়াছড়ি অটোরিক্সা সিএনজি চালক সমবায় সমিতির লাইনম্যানকে মারধরকরে স্ট্যান্ড থেকে বিতাড়িত করে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্থরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মীরসরাই প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠকরে ভূক্তভোগি জোরারগঞ্জ থানাধীন জামালপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ফজলুল ইসলাম জনি (৩০)। এসময় সে লিখিত বক্তব্য পাঠকরে বলে, “আমি গত ১৩/০৫/২০১৭ ইং তারিখে স্টাম্পে চুক্তিনামার মাধ্যমে বারইয়ারহাটস্থ রামগড়-খাগড়াছড়ি অটোরিক্সা সিএনজি চালক সমবায় সমিতি লিঃ রেজিনং (১৯০) এর বৈধ লাইনম্যানের দাত্বিভার গ্রহণ করি। আমার (সদস্য কোড ৫২৩)। আমি সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী উক্ত সড়কে চলাচলকারী প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সার সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণ করি এবং উক্ত সিএনজি অটোরিক্সা থেকে সংগঠনের নামীয় রশিদের মাধ্যমে দৈনিক ১০টাকা হারে সংগঠনের ফান্ডের জন্য অনুদান উত্তোলন করি। সম্প্রতি স্থানীয় জামালপুরের বাসিন্দা মাসুক (৪০), অশোক (৪০), ইউছুপ (২৮), শিপন (৩৮)। তাদের দলবল নিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমাকে এবং শ্রমিকদের মারধর করে জোরপূর্বক বিতাড়িত করে লাইনটি দখল করে। সেখান থেকে তারা টোকেন বাণিজ্য করে দৈনিক ২০/৫০/ এবং ১০০ টাকার হারে চাঁদা আদায় করছে। পরে এবিষয়ে আমি জোরারগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ নং ২০৬/১৭ দায়ের করি। এতে শুরাহা না হওয়ায় পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। গত ১২ ফেব্রুয়ারী ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিবাদী পক্ষগণ মীমাংসা না করে উল্টো আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। একই দিন ফের জোরারগঞ্জ থানায় একটা লিখিত অভিযোগ (১৭৪/১৮) করি। বর্তমানে তারা আমাকে মেরে ফেলবে বলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এবিষয়ে থানায় গিয়ে গত ১৮ মার্চ আরো একটি অভিযোগ নং ৩৭১/১৮ দায়ের করি। কিন্তু কিছুতেই এটার সুরাহা হচ্ছেনা। বর্তমানে কোনপথ খুঁজে না পেয়ে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে আমি এঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক বিচারের দাবী জানাই প্রসাশনের কাছে এবং মিরসরাইয়ের সাংসদ গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নিকট।”

এবিষয়ে সংগঠনের রামগড়ের সভাপতি শাজাহান বলেন, জনির সাথে চুক্তি হয়েছিল ঠিকই। পরবর্তিতে লাইনে সমস্যা হওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এসংক্রান্ত কোন প্রমানাধি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা আমার জানা নেই।

এবিষয়ে বিবাদীগংদের একজন জামাল পুরের বাসিন্দা মাসুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনি কখনো লাইনের দায়িত্বে ছিলোনা। আমরা তাকে কখনো লাইন থেকে তাড়াইনি। সে আমাদের নামে কেন মিথ্যে অভিযোগ করছে আমি তা জানি না।

এবিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বিপুল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, জনির অভিযোগগুলো আমরা পেয়েছি। অভিযোগের তদন্তে গেলে ওই লাইনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জনিকে তাদের লাইনের কোন সদস্য নয় বলে জানান। এছাড়াও স্ট্যান্ড থেকে কেউ চাঁদা উঠাচ্ছে এমন কোন অভিযোগ আমাদের কাছে নেই।