আকাশ ইকবাল: সদ্য কৃষকদের ঘরে তোলা আমনের ফলনে আশানুরূপ ফলন না হলেও অনুকুল পরিবেশ পেয়ে লোকসান পোষাতে মাঠে নেমে গেছে মীরসরাইয়ের হাজার হাজার কৃষক। উপজেলার ইছাখালী, মঘাদিয়া, মায়ানী, দুর্গাপুর, হিঙ্গুলী, করেরহাট, সাহেরখালী ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের কৃষকদের ছরা, খাল, ডোবা বা জলাশয় থেকে সেচ দিয়ে বোরো আবাদে ব্যস্ত হতেই লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে পাহাড়ী নিকটবর্তী ছরার পাশের জমিগুলোতে রবিশস্য ও বোরো আবাদে বেশ ফলপ্রসূ হচ্ছে। তবে উপজেলার অনেক স্থানে অকেজো হয়ে থাকা ুইস গেটগুলো সংস্কার না হওয়ায় অনেক স্থানেই সম্ভব হচ্ছে না ব্যাপক বোরো আবাদ। বিশেষ করে দুর্গাপুর, গোভানিয়া, মীরসরাই, ইছাখালী ও বামনসুন্দর ুইস গেইটগুলো অকেজোই অনেকটা। তবুও থেমে নেই কৃষকরা কেউ বা ডোঙ্গা বানিয়ে, কেউ বা গাছের সেচ পাম্প বানিয়ে নেমে পড়েছে ভালো ফলনের স্বপ্ন নিয়ে। কারণ গত আমনে ও জলাবদ্ধতার জন্য অনেকের লোকসান হয়েছে। তা পুষিয়ে নিতে হবেই সকলের।
আমবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক আমিনুল হক জানান তিনি এক কানি জমিতে আমনে এবার অন্তত ১০ মণ খোসা যুক্ত চিডা ধান তুলেছেন ঘরে। যাতে তার ১০ হাজার টাকা ঋন পরিশোধ করতে পারেননি। এবার বোরোতে সেই লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহ আলম জানান এবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২২০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র। আর হেক্টর প্রতি ৪৩০০ মণ ধান উৎপাদন হতে পারে। যা আমনের চেয়ে হেক্টরে ৩০০ মণ বেশী। আর বোরা চাষাবাদ হচ্ছে ও এবার গত বছরের তুলনায় ১০০ হেক্টর বেশি।