সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরেরা

14
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাদা মেঘের ভেলা ও শুভ্র কাশফুলের আগমনী বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে শরৎ। শরতে উদ্যাপিত হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মীরসরাইয়ে দুর্গাপূজাকে ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই। কয়েকদিন বাদেই প্রতিমার গায়ে পড়বে রঙের আঁচড়। প্রতিমার গায়ে চলছে এখনো শুধু মাটির কাজ, তুলির আচড় এখনো লাগেনি। সবাই ব্যস্ত মায়ের শ্রদ্ধা অর্পনের নিয়মনীতি নির্ধারণ আর নিজেদের গুছোনোর কাজে। তারই আলোকেই দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি মীরসরাই বিভিন্ন মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এবার মীরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়নের ৮৩টি পূজা মন্ডপে হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। সরেজমিনে দেখা যায় যে মীরসরাই উপজেলার করেরহাট, বারইয়ারহাট, জোরারগঞ্জ, দুর্গাপুর, মিঠাছরা, মিঠানালা, রাজাপুর, মীরসরাই, মলিয়াইশ,আবুতোরাব, বড়তাকিয়া, কমলদহ, সাতবাড়িয়া এবং জাফরাবাদ সহ সকল মন্দিরে চলছে পুরোদমে প্রতিমা তৈরির কাজ।
উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার দেওয়ানপুর গ্রামের শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রমে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ, কাঠ আর কাদা মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পী (কারিগর) তাপস নাথ। তিনি বিভিন্ন মন্ডপে দীর্ঘ ১৫বছর প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছেন।
১৫নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের চন্ডি মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কারিগর আদিত্য আচার্য বলেন, এই বছর ৪৩টি প্রতিমা গড়ছি। রাত-দিন কাজ করে প্রতিমা তৈরি শেষ করতে হবে। তারপর পড়বে রঙের প্রলেপ। তখনি প্রতিমা হয়ে উঠবে অনিন্দ্য সুন্দর।
মা দুর্গার স্মরণে এই শরতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে ঢাক ঢোলের শব্দে মুখরিত হবে শহর থেকে অজপাড়াগাঁ এর সর্বত্র । মায়ের আশীর্বাদ নিতে পুজারীদের অঞ্জলী প্রদান এবং আশীর্বাদ গ্রহণের এই বড় ধর্মীয় উৎসব গ্রাম বাংলার আবহমান কাল থেকে একটি সার্বজনীন উৎসব হিসেবে সুপরিচিত। হিন্দু ধর্মীয় আয়োজন হলে ও সর্বস্তরে এর প্রভাব যথেষ্ট উৎসবমুখর। দেওয়ানপুর শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির কমিটির সভাপতি বাবুল সেন জানান, আগামী ৬ অক্টোবর মহাপঞ্চমীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের শুরু। পরদিন মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপে মন্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ। ১১ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
মীরসরাই পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার শর্মা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও ৮৩টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর মধ্যে উপকূলীয় ও মহাসড়ক সংগলœ ১০টি মন্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নিরাপত্তার ব্যাপারে মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ এম কে ভূঁঞা ও জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘেœ পালন করতে সব মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।