শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে ঘন ঘন লোডশেডিং বিপর্যস্ত জনজীবন

bnww

আকাশ ইকবাল:

মীরসরাইয়ে অব্যাহত তীব্র দাবদাহরে কারণে জনজীবন নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। অন্যদিকে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কয়েক দিন ধরে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং এ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড গরমে ষাধারণ মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে হাঁপিয়ে উঠছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদে প্রচন্ড তাপমাত্র বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ নিজ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে একেবারেই বের হচ্ছে না। তবে খেটে খাওয়া মানুষ বাধ্য হয়ে রিকশা, ভ্যান, কৃষি কিংবা পাহাড়ে গিয়ে কাজ করছে। কোথাও একটু স্বস্তি পাচ্ছে না মানুষ। গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ যা বিভিন্ন হাসপাতালে গেলে দেখা যায়। প্রতিদিন কি পরিমাণ রোগী হাসপাতালে গিয়ে ভীড় জমাচ্ছে তা না গেলে বুঝা যায় না।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খেটে খাওয়া লোকজন সামান্য স্বস্তি পেতে গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খাল-বিল নদী- নালা শুকিয়ে গেছে। অন্যদিকে মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলেও নেমে এসেছে নাভিশ্বাস। এই তো গত কয়েক দিন আগেও দেখা গেছে তীব্র দাবদাহের কারণে প্রাণি তৃঞ্চায় পাহাড় থেকে বানর লোকালয়ে নেমে এসেছে। শুধু বানর নয় পাহাড়ি অন্যান্য প্রাণিগুলোও বিভিন্ন এলাকায় লোকালয়ে নেমে এসেছে। ভ্যাপসা গরম ও তীব্র দাবদাহে মীরসরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, ভ্যান নিয়ে মানুষ বেলের সরবত, শসা, তরমুজ, ডাব ও আইসক্রিমের ব্যবসা। মীরসরাই উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (প্যালেন-২) ইয়াছমিন আক্তার কাকুলী বলেন, তীব্র দাবদাহরে প্রভাবে ক্ষেতে খামারে কৃষকরা কাজ করতে পারছে না। এতে খেটে  খাওয়া মানুষের জীবন চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
অন্যদিকে লোডসেডিং এর ফলে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়া লেখায় মনযোগ দিতে পারছে না। মীরসরাই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রনি বলেন, গরম আসার পর থেকে এখনো একদিনও সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ থাকে না। সন্ধ্যায় আমাদের পড়ার সময়। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্তও তিন চার বার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে। ফলে আমরা মনযোগ দিয়ে পড়া পড়তে পারিনা। মীরসরাইয়ের মারুফ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন বলেন, তীব্র দাবদাহ ও প্রচন্ড গরমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলা মাফিক শ্রেনী কার্যক্রম করতে পারছে না। প্রচন্ড গরমে শ্রেণী কার্যক্রম চলাকালীন বিদ্যুৎ ও ঠিক ভাবে থাকছে না। ফলে শ্রেনী প্রতিনিয়ত শ্রেনী কার্যক্রম বিঘœ ঘটছে।