সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে ইলিশের সরবরাহ পর্যাপ্ত ; দাম নাগালের বাইরে

mirsori ilish chobi
নিজস্ব প্রতিবেদক::দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চলতি সপ্তাহে অনেক ইলিশ ধরা পড়ছে মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী উপকূলের জেলেদের জালেও। চাঁদপুরের ইলিশের মতো অতোটা পরিচিতি না পেলে ও মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী উপকূলের ইলিশ চট্টগ্রাম জুড়ে খ্যাত। চাঁদপুর থেকে বরফ দিয়ে নিয়ে আসতে সময় লেগে যায় অনেক। কিন্তু এখানকার ইলিশ ভোর বেলা অনেকে সোজা ঘাটে গিয়েই কিনে নেয়। আস্ত ও তাজা ইলিশ পাবার জন্য। তরতাজা বলে স্বাদে ও মানে চাঁদপুরের পদ্মার ইলিশকে হার মানায় যা।
মা-ইলিশ এর শিকারে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার গতকাল পর্যন্ত গত এক সপ্তাহ ধরে মিরসরাই-সীতাকুন্ডের জেলে পরিবারে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। প্রায় সহ¯্রাধিক জেলে পরিবারে এখন উৎসবের আমেজ। তবে জেলেদের দাবি এবছর মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম যথা সময়ে দেয়া হয়নি। কারণ ইলিশ ডিম ছাড়ার এখনো সুযোগ পায়নি। এ অমাবশ্যা-পূর্ণিমার মধ্যে অভিযান দিলে মা ইলিম ডিম ছাড়ার সুযোগ পেতো। গতকাল মিরসরাই সীতাকুন্ডের বড়দারোগাহাট, বারৈয়ারহাট, মিঠাছরা সহ বেশ কয়েকটি মাছের বাজারে ঘুরে দেখা যায়, জেলেদের জালে ধরা পাড়া কিছু কিছু ইলিশে ডিম রয়েছে। মিরসরাই বাজারে ইলিশ কিনতে আসা একজন গৃহিনী ক্রেতা জানান তিনি দুদিন আগে কিনে নেয়া ইলিশের পেটে ডিম পেয়েছেন। জেলেরা বলছে, এ আমাবশ্যা-পূর্ণিমার মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা দিলে মা ইলিম ডিম ছাড়ার সম্পূর্ণ সুযোগ পেতো। অথচ অনেক আগে নিষেধাজ্ঞার সময় দিয়ে শেষ করে দিয়েছে সরকার। এর ফলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে মনে হয় না। নিবারন দাশ ও কবির উদ্দিন নামের দুই জেলে জানায়, ‘এ বছর অভিযান সফল , কারন কেউ ভয়ে সমূদ্রে জাল নিয়ে নামে নাই, কিন্তু মাছের ভিতর ডিম রই গেছে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউট এর ইলিশ গবেষক ডাঃ আনিছুর রহমান জানান, অভিযান আরো কিছু দিন যদি বাড়ানো গেলে ভালো হতো। তবে মিরসরাইয়ের উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মন্ত্রনালয় প্রকৃতপক্ষে এবার শতকরা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মাছের ড়িম ছাড়া মাছের প্রজনন রক্ষা করতে চেয়েছে । এটুকু সরকার সফল হয়েছে। অবশিষ্ঠ কিছু ইলিশে ডিম থাকতে পারে। আরো বেশী দিন বন্ধ রাখলে মাছ ক্রেতাদের সমস্যা হতো।
এদিকে বাজারে পর্যপ্ত ইলিশ এলে ও বড় সাইজের ইলিশ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের এখানকার ইলিশ ও বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। কেজিতে ৪টা হয় এমন ছোট সাইজের বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। তিনটি বা দুটি মিলিয়ে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫০০ থেকে ৭ শত টাকায়।
যা দরিদ্র জনগোষ্ঠি এবং মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। অথচ জেলেদের জাল থেকে বাজারে অবাধে আসতে শুরু করেছে ইলিশ। এই বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন আসলে মূল্য নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে আমাদের কাছে সরকারি কোন নির্দেশনা নেই। তবে সরকার বা মন্ত্রনালয় যদি ক্রেতাদের স্বার্থে কোন নির্দেশনা প্রদান করে আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।