শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ের চারটি দর্শনীয় স্থান হতে পারে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা

মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনঃ
চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার মীরসরাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিশাল এক ভান্ডার ।গ্রামীন সংস্কৃতি, গৌরবজ্জল ইতিহাস-ঐতিহ্য আর মনোরম প্রাকৃতিক শোভায় রুপসী বাংলার অপরুপ মনকাড়া সৌন্দর্যে গড়া মীরসরাই উপজেলা।প্রকৃতির রুপ লাবন্যে ভরা মীরসরাইয়ের দর্শনীয় স্থানগুলো প্রতিনিয়ত কাছে ডাকছে পর্যটকদের।অপার সৌন্দর্যমন্ডিত পর্যটন স্থান গুলো দেখে যে কেও বিমহিত হবেন।

মুহুরী প্রজেক্টের সুবিশাল জলরাশি :

fgf
আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য যেসব রূপ বৈচিত্র ও বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তার সব কটিই আছে এখানে। মুহুরী প্রজেক্টে আরো আগে থেকেই দূরদুরান্তের মানুষ ভিড় করতো প্রতিনিয়ত। ক্যামেরায় ধরে রাখার মত হাজারো দৃশ্য এখানে নিয়মিত দেখা যায়। জোয়ারের পানি যখন উথলে ওঠে তটরেখায় তখন আছড়ে পড়ে ছোট বড় ঢেউ, তখন এক অপরূপ সৌন্দর্য বিকশিত হয় মুহুরী প্রজেক্টে। জোয়ারের পানিতে গলে পড়ে ঝুরঝুরে বালি আর লোনা পানিতে ঘন সবুজ অরণ্যের সবুজ ছাউনি। নীল আকাশের বিশালতার নিচে সবুজের সমারোহ, এ যেন প্রকৃতির লীলাখেলা। অনেক ছেলে-বুড়ো নৌকা নিয়ে বসে থাকে সারিসারি হয়ে। দর্শনার্থী দেখলেই প্রতিযোগিতার মত ছুটে আসে নৌকা নিয়ে। এক ঘণ্টা নৌকায় চড়িয়ে প্রকৃতির সব সৌন্দর্য্য দেখিয়ে আনন্দ দেয়ার মূল্য নেয়া হয় ৮০ টাকা। ব্যক্তি ভেদে আরো বেশিও নেয়া হয়। সারা প্রকল্প ঘুরে ঘুরে দেখার সাথে বাড়তি আনন্দ দেয় ঢেউয়ের তালে তালে দুলতে থাকা জেলে নৌকায় বিভিন্ন ধরনের জাল ফেলে নানা প্রজাতির মাছ ধরার দৃশ্য। দুপাশে গড়ে ওঠা বনাঞ্চলের দিকে তাকালে হয়তো সহজেই দেখা যাবে নানা প্রজাতির প্রাণী। দেখা যাবে সমুদ্রগামী হাজারো জেলের জীবন সংগ্রামের দৃশ্য। সোনাগাজী মুহুরী প্রজেক্টের অপরূপ দৃশ্যশেষ বিকালের সূর্যের আলো যখন মুহুরী প্রজেক্টের বেলাভূমিতে পড়ে, তখন দূর থেকে মনে হয় পুরো প্রকল্পটি যেন একটি পর্যটন কেন্দ্র। সরকার একটু নজর দিলেই এ স্থানটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বাস্তবায়িত হবে। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চাদরে ঢাকা এ প্রকল্পটিতে নদী আর সাগরের জল আছড়ে পড়ছে। চিকচিক বালিতে যেন সকালের মিষ্টি রোদ আলো ছড়ায় আর অস্তগামী সূর্যের লালিমা মাখা অনন্ত মায়া যেন ঢেলে দেয় দিগন্তজুড়ে। অপরূপ মুহুরী প্রজেক্ট স্বর্ণালী স্বপ্নের মতোই বর্ণিল শোভায় ঘেরা। প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিলিয়ে যাচ্ছে এ প্রকল্পটি। সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটকরা এখানে এলে মুহুরী প্রজেক্টের মনমোহনীরূপ তাদের মুগ্ধ করবেই। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই সারিবদ্ধভাবে বাঁকে বাঁকে গরু-মহিষ নিয়ে ঠিকানায় ফিরে রাখালেরা। প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অতিক্রমকালে আকাঙ্খা আর প্রতীক্ষা যেন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। তখন মনে দোলা দেয় নানারকম অনুভূতি। মুহুরী প্রজেক্টের রেগুলেটরের ৪০ দরজায় একসাথে যখন পানি প্রবাহ আরম্ভ হয় তখন কেবল সোনাগাজী মুহুরী প্রজেক্টের অপরূপ দৃশ্যশোনা যাবে শোঁ শোঁ আওয়াজ। সেসাথে হিমেল হাওয়ার মৃদু ছোয়া সব মিলিয়ে অন্যরকম এক রোমাঞ্চকর ভালো লাগার অনুভূতি। মুহুরী সেচ প্রকল্পকে ঘিরে গত আড়াই দশকে গড়ে ওঠে বিনোদন ও পিকনিক স্পট । শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে ভ্রমণ পিপাসু লোক এবং পর্যটক বেড়াতে আসে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মুহুরী রেগুলেটরের চারদিকে বাঁধ দিয়ে ঘেরা কৃত্রিম জলরাশি,বনায়ন,মাছের অভয়ারণ্য, পাখির কলকাকলি,বাঁধের দুপাশে নীচ থেকে পাথর দিয়ে বাঁধানো এবং উপরদিকে দুর্বা ঘাসের পরিপাটি বিছানা । মুহুরীর জলরাশিতে নৌভ্রমণের সময় খুব কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস এবং প্রায় ৫০ জাতের হাজার হাজার পাখির দেখা পাওয়া যায় ।

মহামায়া লেকের রংধনু :

Mohamaya Lake
শরতের মোহনীয় সাজে সেজেছে প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ মহামায়া লেকের চারিধার, ভাদ্রের বর্ষণমুখর বৃষ্টির ছন্দে মহামায়া লেকের সৌন্দর্য আরেক নতুনরূপ ধারণ করেছে সম্প্রতি। এবারের শরতের রূপের সৌন্দর্যে অবগাহন করতে দর্শনার্থীরা যেন মাতোয়ারা। যে-ই এখানে আসছে হচ্ছে বিমোহিত। বিমুগ্ধচিত্তে সে প্রকৃতির কোলে নিমজ্জিত হচ্ছে ভিন্ন সত্তায়। রূপরানী চট্টলার প্রবেশদ্বার মিরসরাইতে গড়ে ওঠা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহামায়া লেকে সম্প্রতি দর্শনার্থীদের এখন ভিড় বর্ণনাতীত । বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়ন করা এই সেচ প্রকল্পে দিন দিন নজরকাড়া রূপ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে অগণিত দর্শনার্থী। ভাদ্রের এই ভরা বর্ষায় প্রকল্পটি ভিন্ন রকম সাজে এখন। পুরো লেক জলে টুইটুম্বুর। অতিরিক্ত পানি ইনটেক স্ট্রাকচার দিয়ে ছেড়ে দেয়ায় তা হয়েছে নয়নাভিরাম স্রোতস্বিনী। দর্শনার্থীরা সেখানে ব্লকের ওপর গড়িয়ে পড়া জলে সৃষ্টি হওয়া ক্ষুদে জলপ্রপাতে আনন্দে কেউ হাঁটছে, কেউ খেলছে, কেউ ঝরনার জলে øানে মত্ত। প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার লেকের জলে অনেকে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। লেকের বিভিন্ন অংশে পাহাড়ের চূড়া, বনানী, সারি সারি বাগান, জুম চাষ, পাহাড়ি রকমারী ফুলের মেলা, ঝোপে ঝোপে মাছরাঙ্গা আর বকের শিকারি মগ্নতার দৃশ্য। এ ছাড়া অতিথি পাখি, পান কৌড়ি দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে। যে যার মতো ছোট্ট ডিঙ্গি কিংবা সপরিবারে বড় নৌকা নিয়ে লেকে সারাবেলা ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে ছুটে যাচ্ছে গহিন বনের নানা দৃশ্য অবলোকন করে ঝরনা দেখতে। অনেকাংশে সিলেটের মাধবকুণ্ডের মতো দৃষ্টিনন্দন এই ঝরনা যে কোন দর্শনার্থীকেই করছে বিমুগ্ধ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘিতে এটি। সেখানে মহাসড়কের পাশেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাইনবোর্ড। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাড়কে উপজেলার ঠাকুর দিঘি এলাকা থেকে পূর্ব দিকে ১ কিলোমিটার রাস্তার পরেই এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি মহামায়া লেক। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত এই মহামায়া লেকটি এখন দর্শনার্থীদের জন্য সামান্য দামের টিকিটের বিনিময়ে উন্মুক্ত করা হয়েছে।পাহাড়ের বুক চিরে চির সবুজের মাঝে সুন্দর ঝর্নাধারা ঘুরে না আসলে যেন মন ভরেনা।ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে দকো মিলতে পারে সাত রংয়ের অপূর্ব রংধনু। ছোট ছোট স্পীট বোর্ডে করে ১০-১৫ জনের একটি দলবেঁধে ঢেউহীন নীলাকার পানিতে ঘুরতে খুব ভালোলাগে। মনযেন হারিয়ে যায় উদাস বনের বাঁয়। যতই দেখে ততই যেন সুন্দরের ছায়ায় মুগ্ধ হচ্ছে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীরা।
এছাড়াও পাহাড়ের উপরে উঠে সাবাই গোলাকার করে বসে আড্ডাটাই যেন আর বেশি ভালো লাগে উঁচু থেকে তাকালেই যেন মনে হয় সমতল ভুমি কত নীচে। হঠাৎ ভয় লাগলেও আনন্দের ধারায় তা ভুলে গিয়ে উচ্চাসে মেতে উঠে সবাই।এখানে যে কেউ এসে সারাটাদিন মহাআনন্দে কাটাতে পারেন।
আট স্তরের খৈয়াছড়ার বুনো ঝর্না :

fgdsf
ঝম ঝম শব্দে বয়ে চলা ঝর্নাধারায় গা ভিজিয়ে মানুষ যান্ত্রিক জীবনের অবসাদ থেকে নিজেকে ধুয়ে ফেলে সজীব করে তার নাম খৈয়াছরা ঝর্না। পাহাড়ের সবুজ রং আর ঝর্নার স্বচ্ছ জল মিশে মিশে একাকার হয়েছে মিরসরাইয়ের প্রাকৃতিক জলপ্রপাত খৈয়াছরা ঝর্নায়। প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা এ ছবি দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দেশের ভ্রমন পিয়াসী মানুষ। যারা একবার খৈয়াছরা ঝর্না দেখেছেন তাদের মনে একটিই প্রশ্ন উঁকি দেয় বার বার ‘দেশে এমন সৌন্দর্যের ঝর্না দ্বিতীয়টি আর আছে কিনা’। এমনই এক নান্দনিক ঝর্না পর্যটকদের আকর্ষন করছে যা খৈয়াছরা ঝর্না নামেই পরিচিত। খৈয়াছরা এলাকার পাহাড়ে অবস্থান বলে এর নামকরণ করা হয়েছে খৈয়াছরা ঝর্না ।
প্রকৃতি ও প্রেমের মিশেলে তৈরি এই চিত্রকল্পটি বাস্তব এক পটভূমি। এই গল্পের নাম ভূমিকায় আছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের গহীন পাহাড়ে অবস্থিত খৈয়াছরা জলপ্রপাত। সরকারের পর্যটন বিভাগের দৃষ্টির বাহিরে সর্বত্র অপ্রকাশিত এই ঝর্ণা এখন পর্যটকদের টানছে মায়ামোহে। প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা এ ছবি দেখে মুগ্ধ ভ্রমন পিয়াসী মানুষ। যারা একবার খৈয়াছরা ঝর্না দেখেছেন তাদের মনে একটিই প্রশ্ন উঁকি দেয় বার বার ‘দেশে এমন সৌন্দর্যের ঝর্না দ্বিতীয়টি আর আছে কিনা।’ এখানে আসা অনেক পর্যটকের মতে, ‘দেশের মাধবকুন্ড ও শুভলং ঝর্ণার থেকেও বেশি রূপ এটির।’ তাদের কথায়, ‘শুধুমাত্র সরকারের অবহেলায় এটি সর্বত্র অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।’ মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছরা ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর পার্শ্বে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪.২ কিলোমিটার পূর্বে ঝর্নার অবস্থান। এর মধ্যে ১ কিলোমিটার পথ গাড়ীতে যাওয়ার পর বাকী পথ যেতে হবে পায়ে হেঁটে। বাঁশের সাঁকো, ধানক্ষেত, আঁকা-বাকা পাহাড়ী পথ, ছরা এবং ৪টি সু-পাহাড় পেরিয়ে যেতে হবে প্রকৃতির এই বিস্ময় সান্নিধ্যে। খৈয়াছরা ঝর্নার মোট আটটি ধাপ। বেশিরভাগ পর্যটক প্রথম ধাপের সৌন্দর্য্য দেখেই মাতোয়ারা। পাহাড়ের উঁচুতে হওয়ায় বাকী ধাপগুলোতে যাওয়া কিছুটা কষ্টকর বলে অনেকেই ঝর্নার প্রথম ধাপের সৌন্দর্য্য দেখেই ফিরে আসেন। অনেক প্রশস্ত জায়গা জুড়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে শেষ ধাপে। ঝর্নার শেষ ধাপ পর্যন্ত যারা আসবেন তারা বাংলাদেশের সেরা কোন প্রাকৃতিক ঝর্না উপভোগ করবেন নিঃসন্দেহে।

পাখির কলতানে মুখর বাওয়াছড়া :

Baoachada
পাহাডিয়া সবুজ গাছের সমারোহ অতিথি পাখিদের কলতান কার না মন জুডায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কেউ মুগ্ধ হবেন বাওয়াাছড়া দেখে। সে যেন সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়রে ছোট কমলদহ বাজার থেকে দেড় কিলোমিটর পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে এ স্পটের অবস্থান। নীল আকাশের বিশালতার নিচে সবুজের সমারোহ। দুই পাশে থাকা বনাঞ্চলের দিকে তাকালে হয়তো সহজেই দেখা যাবে জীববৈচিত্র। দেখা যাবে শেষ বিকেলের সূর্যের আলো যখন লেকে পড়ে তখন দূর থেকে মনে হয় পুরো প্রকল্পটি যে একটি পর্যটন কেন্দ্র। এলাকাবাসী জানান, সরকার একটু নজর দিলেই এটি হবে চট্টগ্রামের মধ্যে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। মনোমুগ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চাদরে ঢাকা প্রকল্পটিতে ঝর্নার পানি আছড়ে পড়ছে। চিকচিক বালুতে যেন সকালের মিষ্টি রোদ আলো ছড়ায় আর অস্তগামী সূর্যের লালিমা মাখা অনন্ত ছায়া যেন ঢেলে দেয় দিগন্তজুড়ে। অপরূপ বাওয়াছড়া স্বর্ণালি স্বপ্নের মতোই বর্ণালি শোভাঘেরা সৌন্দর্যপিপাসু পর্যটন। এখানে এলেই বাওয়াছড়ায় মনমোহনী রূপ তাদের আকৃষ্ট করবে। সীতাকুণ্ডের কুমিরা থেকে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থী মিনহাজুল করিম বলেন, এখানে আমি প্রথম এসেছি। এত চমৎকার দৃশ্য সবারই মন জুড়াবে।এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে রণাবেণ করতে পারলে প্রকল্পের লেকে সংরণ করা পানি দ্বারা এই এলাকার প্রায় ১৪০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন মওসুমে ফসলাদি চাষ করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১৮ হাজার দরিদ্র কৃষক সাবলম্বী হয়েছেন। বিশেষ করে ইরি, বোরো, আউশ, আমন, বিভিন্ন জাতের শাক, টমাটো, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, আলু, কপি, শিম, বরবটি, ঢেঁড়স, ধুন্দুলসহ সব ধরনের রবিশস্য উৎপাদিত হচ্ছে।