সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইতে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে যুবলীগকর্মীকে খুন, আহত ৬

Khun Pic-02মীরসরাইয়ে যুবলীগ কর্মীকে নির্মমভাবে খুন করে লাশ ও পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ও আহত হয় আরো ৬জন। নিহতের নাম মোঃ মহি উদ্দিন (৩২)। শনিবার (৩১ জানুয়ারী) গভীর রাতে মীরসরাইয়ের হাইতকান্দি ইউনিয়নের মহালংকা গ্রামে ঘটে নৃশংসতম বর্বরতা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ১২ টার পর একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে নির্মমভাবে স্থানীয় যুবলীগকর্মী মোঃ মহিউদ্দিন (৩২) কে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এসময় পুত্রকে বাঁচাতে এসে জখম হয় বাবা এতিম আলী (৫৫) ও মা সুফিয়া বেগম (৫০)। পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে ঘরের ভেতর থাকা অপর দুই ভাই টিপু ও ফিরোজ পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেলেও অপর ভাই হারুনুর রশিদ (৩৫) কে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এরপর হামলাকারীরা ঘরের চারপাশে পেট্রোল ও গানপাউডার ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে মুহুর্তেই আগুনে পুড়ে যায় সর্বস্ব। ঘরের ভেতর ছাইভস্ম হয়ে যায় নিহত মহিউদ্দিনের দেহ। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরের ভেতরে থাকা মহিউদ্দিন, টিপু ও ফিরোজের ৩ টি মোটরসাইকেল। একই সময়ে উক্ত বাড়ীর পাশ্ববর্তী উত্তর বালিয়াদী গ্রামের আব্দুর রহমান চেয়ারম্যান বাড়ীতে হামলা করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এসময় অন্তঃত অর্ধশত ককটেল ফাটিয়ে বাড়ীর চারপাশের টিনের ঘেরা কুপিয়ে তছনছ করে। এক পর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে যুবলীগকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান রুবেলকে খাটের নিচ থেকে বের করে উপর্যুপরি কোপায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা রুবেল মারা গেছে ভেবে চলে যায়। নির্বেঘেœ চলে যেতে পেট্রোল বোমা মেরে আতংক সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীরা। কিন্তু বোমাটি ফাটালেও আগুন ভালভাবে না লাগায় বাড়ীর সবাই তা নিভিয়ে ফেলে। এসময় রুবেলকে বাঁচানোর চেষ্টাকালে আহত হয় তার বাবা শাহজাহান, মা হাছিনা, স্ত্রী লীমা সুলতানা ও বোন শারমিন আক্তার মুক্তা।
একই সময়ে রাত ১২টয় নিহত যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিনের পাশ্ববর্তী প্রবাসী আবুল হোসেনর বাড়ীতেও অপর একদল হামলা চালিয়ে আমিনুল করিম রুবেল নামের ছাত্রলীগ কর্মীর ঘরের চারপাশে ককটেল ফাটিয়ে, জানালার সকল গ্লাস ভাংচুর করে। সেখানের পাকা ঘরের চারপাশে সুরক্ষিত বলে ভেতরে ঢুকতে পারেনি হামলাকারীরা। এসময় তার মোটরসাইকেল রাখা সিড়ি ঘরে একটি বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে।
গতকাল রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার, এসময় তিনি বলেন এমন নাশকতা কারো কাম্য নয়, তিনি উক্ত ঘটনার জন্য দোষীদের শীঘ্রই গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মীরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ এম কে ভূঁঞা কে।
এই বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির কবির বলেন হত্যা ও বিভিন্ন হামলার ঘটনাগুলো বিএনপি ও জামায়াত সুপরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে।
এই খুনের ঘটনায় মীরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।