শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মিরসরাইয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌনহয়রানীর অভিযোগ! তাৎক্ষনিক বদলী

mirsarai-pic-03-11-16

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
মিরসরাই উপজেলায় এক প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌনহয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ৫ম শ্রেনির কন্যা শিশুদের এমন অভিযোগ শোনার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উক্ত শিক্ষককে তাৎক্ষনিক বদলী করেন। কিন্তু এখন অভিবাবক মহলে প্রশ্ন এটাইকি তার কি তার উপযুক্ত বিচার? যে বিদ্যালয়ে তাকে বদলি করা হয়েছে সে খানে কি এধরনের আচরন করবেনা?
গতকাল বুধবার ২রা নভেম্বর দুপুরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে ৫ কন্যা শিশু শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের প্রদান করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, মিরসরাই উপজেলার ধুম ইউনিয়নের উত্তর নাহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বিধান চক্রবর্তি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানি করে আসছে। শিশু শিক্ষার্থীরা জানায়, উক্ত শিক্ষক দির্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ভাবে প্রায়ই যৌন হয়রানী করতো। আবার কাউকে বিষয়টি জানালে বেত্রাগাত ও পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিবে বলে হুমকী দিতো। অবশেষে শিশুরা বিষয়টি তাদের অভিভাবককে জানালে তারা একত্রিত হয়ে শিক্ষা অফিসার গোলাম রহমানের কাছে এলে তিনি শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের বক্তব্য শুনে উক্ত শিক্ষককে তাৎক্ষনিক শিক্ষা অফিসে ডেকে আনেন। উপস্থিত শিশুদের উপস্থিতিতেই উক্ত শিক্ষককে তিনি কর্মরত বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে মঘাদিয়া ইউনিয়নের বদিউল্লাহ পাড়া বিদ্যালয়ে বদলী করেন। শুধু তাই নয় পরবর্তি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। তবে বদলির বিষয়টি সন্ধ্যাবেলায় জানা যায়। এ বিষয়ে মিরসরাই প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মনজুর কাদের চৌধুরী বলেন, ঘটনাটির তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হলেও এই বিষয়ে আরো বিষদ তদন্ত করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এদিকে স্থানীয়রা আরো জানায়, এধরনের অভিযোগে এর পূর্বেও একাধিকবার স্থানীয়দের উপস্থিতিতে একাধিক শালিস বৈঠক হয়েছিল। তখন সে বিভিন্ন ভাবে ঘটনাগুলো ধামা চাপা দিয়েছে। সূত্রে আরো জানা যায়, সরকারী চাকুরীতে নিয়মিত বদলির বিষয়টি থাকলেও ওই অভিযুক্ত শিক্ষক তার চাকুরীর শুরু থেকে (প্রায় ২০ বছর) অদ্যাবদি একই বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছে। ফলে স্থানীয়দের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠায় তার অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, তার স্ত্রীও রামগড়ের একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানেই বসবাস করেন। বিধান চক্রবর্তি প্রতি বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর সেখানে যান এবং শুক্রবার বিকেলে চলে আসেন। তার বাবাও মতি চক্রবর্তি একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তবে স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, তার এই জগন্য অপরাধের কারণে শুধু বদলি করলে তার উপযুক্ত বিচার হবেনা। তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তারা এও অভিযোগ করেন, শিক্ষা কর্মকর্তা রহস্যজনক কারণে তাকে বদলি করেছে, কিন্তু বরখাস্ত করেনি। আমরা এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।