পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে আইন করে শাস্তি কঠোর করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদেরা। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কথাও বলেন তারা। বুধবার শিক্ষামন্ত্রণালয়ে দেশের শিক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষাবিদেরা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বৈঠকে সভাপতিত্বে বৈঠকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, এমএম আকাশ, ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, আবুল মোমেন, মুনতাসির উদ্দিন খান মামুন, ছিদ্দিকুর রহমান, ড. রফিকুল হক, সালমা আখতার ও সেলিনা হোসেন প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ কয়েকজন শিক্ষাবিদ তাদের পরামর্শ দিয়ে বের হয়ে এসেছেন। তিনি সাংবাদিকদের, সভায় শিক্ষাবিদদের পক্ষ থেকে শিক্ষার মান, প্রশ্নপত্র ফাঁস, মাদ্রাসা শিক্ষা, পরীক্ষা পদ্ধতিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আইটির ব্যবহার ও সাজাও বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো বেসরকারি মেডিকেল ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া উচিত নয় বলে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।২০১৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর ওই পরীক্ষা স্থগিত করে ১০ এপ্রিল একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটিকে ১৫ দিনের সময় দিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও তারা আরো ১০ দিন সময় বাড়িয়ে নেয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে ড. জাফর ইকবাল গণমাধ্যমে কয়েকটি কলাম লেখা ছাড়াও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে যোগ দেন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকেরাও।