সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

প্রধানমন্ত্রীর ব্ক্তব্যে বিচার বহির্ভুত হত্যাকে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে-মির্জা

fakrul_66375

রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আত্মরক্ষার অধিকার সকলের রয়েছে’ বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সন্ত্রাস ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রামে যুব জাগপার নেতা মাসুদ রায়হানসহ সকল শহীদদের স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।  এ থেকে তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীকে এর জবাবদিহিতা দিতে হবে।গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গণতন্ত্রের মানসকন্যা বলেন। অথচ গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছেন। আর এই প্রহসনমূলক ও একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কবর যাত্রা তিনি শুরু করেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, প্রথমত আমাদের সকলকে ঐক্যবন্ধ হতে হবে। ঐক্যবন্ধের মধ্য দিয়ে সরকারকে বাধ্য করতে হবে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। আর এর ব্যত্যয় ঘটলে দেশের জনগণ এই অন্যায়কে কখনও প্রশ্রয় দেননি এবারও দেবেন না।
বর্তমান সরকারকে একটি অসাংবিধানিক সরকার হিসাবে অ্যাখায়িত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার হচ্ছে একটি অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকার। কারণ সংবিধানে স্পষ্ট ভাষায় লেখা আছে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু বাংলাদেশে  ৫ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। তাই আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি অসাংবিধানিক সরকার।নগর জাগপার সভাপতি আসাদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, সহ-সভাপতি খন্দকার আবিদুর রহমান প্রমুখ।
উৎস- যুগান্তর