শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

”নিলয়ের স্বল্পদৈর্ঘ্যে চলচ্চিত্র ‘অলস পরিবার’ পহেলা বৈশাখী আয়োজনে এক চরম আকর্ষন”

received_1916027668644114

নজরুল ইসলাম তোফা|| ভাই বরাবরই খুব অলস প্রকৃতির মানুষ, ঘাড়ে না চাপলে কোনো কাজ করতে ইচ্ছেই করে না তারা শুধুই ঘুমায় আর খায়। কাজেই কখনো কখনো ভাবিকে নিয়ে ভাইদের মহা বিপদে পড়তে হয়। ভাবী তার প্রান প্রিয় স্বামীরে তো আর কিছু বলবেনা। ‘যত দোষ এই নন্দ ঘোষের না না থুক্কু এই কেদুর দোষ’। মেজ ভাই কেদু এমন করেই কইতুরি ভাবিকে বলে। সংসারে ভাবি এসেই যতসব ঝুট ঝামেলা। বড় ভাই দাদো উঁকি দিয়ে শুনে, অলসতা যে তার কাটেনা। কাহিনি সংক্ষেপ, বরগুনা জেলার আয়লা গ্রামে এমন সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয় ‘অলস পরিবার’। এই অলস পরিবার স্বল্পদৈর্ঘ্যে চলচ্চিত্র বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মাত হয় এবং অভিনয়ে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার করে অনেক নান্দনিকতা প্রকাশ পায়। গ্রামের একটি অলস পরিবার কিভাবে নিজেরা নিজেদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। উচিৎ ছিলো তাদের কাজে কর্মে লিপ্ত থাকা কিন্তু তা না করে শুধুই ঘুমায়। কিন্তু নাটকের চরিত্রে ভাই দু’টি অত্যন্ত লোভী প্রকৃতির। যারা কাজ না করে সমাজের কাছে বিভিন্ন কৌশলিতে অর্থ কামানো কায়দা কানুন সৃষ্টি করে এবং বউয়ের কাছে যৌতুক দাবি করে, এমন অকর্মণ্যতা সমাজ কি ভালো চোখে নিতে পারে মানুষ?  অথচ এই অলসদের নিজ পরিবারের প্রতি কেয়ার নেই, শুধুই নির্যাতন, সঠিক মতো বউ না চললে পদে পদে বিপদ, প্রতিদিন অর্থের চাহিদা। গ্রামের একটি পরিবারই শুরু এমন তাই গ্রামবাসী তাদেরকে চরম ঘৃণা, তিরস্কার এবং হাস্যকর মানুষ বূপে আক্ষায়িত করে।

received_1916029308643950

সত্য ঘটনায় নাটক বানানোর চলমান যে প্রক্রিয়া, সেই জগতে অনেক মিউজিক ভিডিও নির্মাণের পর গুটি গুটি পায়ে হাঁটচ্ছেন পরিচালক নিলয় মাহমুদ রাহুল। তিনি বলেন, আমি কখনোই নির্মাণ কাজে ব্যর্থ হইনি। সিঁড়ি বেয়ে উঠছি। আমার মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করছি। সেটির নাম হচ্ছে BMC Multimedia. দাবি করেন, এটা আমদের ইউটিউব চ্যালেন। আবার তিনি আশা পোষণ করে বলেন, আমার মিউজিক ভিডিও মতোই অলস পরিবার চলচ্চিত্রটি বরগুনার চ্যালেনে প্রচলিত হবে। কাজের মান দেখে বরগুনা জেলার যেসব চ্যানেল আছে,  আমাকে ডেকে নেন, তাঁরা আমাকে ভালোবেসে এক প্রকার চাপ দিয়েই কাজটি করিয়ে নিচ্ছেন, সেহেতু এবারের পহেলা বৈশাখে যাচ্ছে আমার নির্মিত চলচ্চিত্রটি অলস পরিবাব।

আয়লা গ্রামের আনন্দঘন পরিবেশে শুটিং ইউনিট  ছিল অত্যন্ত চমৎকার আর কাজের কোয়ালিটি অন্যান্য কাজের চেয়ে ভালো। পরিচালক নিলয় মাহমুদ রাহুল স্বয়ং নিজে মূল চরিত্র ‘দাদো” বড় ভাই হয়ে অভিনয় করেছেন। কইতুরি ভাবি চরিত্রে নাসরিন এবং মেজ ভাই কেদু চরিত্রে জাহিদুল ইসলাম। অন্যান্য পার্শ্ব চরিত্রে সুমান, রোজিনা রোজি, মিলন মৃধা, নাহিদ হাসান রাসেল, আল আমিন ও সাইফুল ইসলাম। সুদক্ষ ক্যামেরা ম্যান জাহিদুল ইসলাম।

পরিচালক নিলয় মাহমুদ রাহুল বলেন, অলস পরিবার স্বল্পদৈর্ঘ্যে চলচ্চিত্রটির যে কাজটি বাঁকি আছে সে কাজটি পহেলা বৈশাখের আগেই শেষ হবে। এই কাজটি জন্য পরিচালক সহ এডিটিং প্যানেলে দক্ষ এডিটর খান নাইম আছেন।

বরিশালের আঞ্চলিক ভাষার এই হাসির চলচ্চিত্রটি ইউটিউব সহ বরগুনা বাসীকে দেখার আমন্ত্রণ জানালেন পরিচালক। ভবিষ্যতে আরো ভালো অভিনেতা ও অভিনেত্রী নিয়ে ভালো কাজের ইচ্ছা পোষণ করেন এবং পরবর্তীতে ঢাকার নামি দামি চ্যানেলে প্রচার করার বাসনা জাগ্রত করেন।