সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

নাসিক প্যানেল মেয়র নজরুল এ্যাড: চন্দনসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার

image_94306

অপহরণের চারদিন পর বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের ভাই আব্দুস সালাম তার লাশ সনাক্ত করেন। এছাড়া কাউন্সিলর নজরুলের সহকারী তাজুলের লাশ সনাক্ত করেছেন তার ভাই রাজু।আরেক সহকারী স্বপন ও লিটনে লাশ শনাক্ত করেছেন তার স্বজনরা।

একই সময়ে নিখোঁজ এডভোকেট চন্দন সরকার ও তার ড্রাইভার ইব্রাহিমের মৃহদেহ উদ্ধার করার পর হাসপাতালে এনে পরিবারের লোকজন লাশ সনাক্ত করেন।

সন্ধ্যার পর ময়না তদন্তের জন্য লাশগুলো ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ সময় নারায়ষগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ, জেলা আইনজীবি সমিতির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নজরুল ইসলামের সহকর্মী অন্যান্য কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।এসময় লাশের আপনজন হাসপাতালে এসে আহাজারি করলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। উপস্থিত সকল মানুষের চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত।
বুধবার দুপুর পৌনে ৩টায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত ৬টি লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রতিটি লাশের সাথে ইট ও সিমেন্টের পাথর বাঁধা ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে। লাশগুলো পচে যাওয়ায় এলাকায় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) মোকাররম জানান, এলাকাবাসীর খবরের প্রেক্ষিতে চর ধলেশ্বরী এলাকার বিভিন্নস্থান থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। সিমেন্টের ব্যাগে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ নদীর পাড়ে পড়ে ছিল। লাশের পরিহিত জামা কাপড় দেখে নজরুলের ভাই আব্দুস সালাম ও তার স্ত্রী লাশ সনাক্ত করেন।এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে শীতলক্ষা নদীর পাড়ে শত শত মানুষের ভীড় জমে যায়।

গত রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে আদালতে একটি মামলায় হাজিরা শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম সাদা রঙের এক্স করলা (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৯১৩৬) প্রাইভেট কারযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ ফিরছিলেন। ওই গাড়িতে নজরুল ছাড়াও গাড়ির চালক এবং তাজুল, স্বপন ও লিটন নামের নজরুলের তিন সহকারী ছিলেন। শিবু মার্কেট এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে তাদেরকে অপহরণ করা হয়।

ঐদিন রাতে ১০টার দিকে গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকায় প্যানেল মেয়র নজরুলের গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সোমবার সকালে রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে এ্যাড: চন্দন সরকারের গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ধারনা করছে, অপহরন করে ৬জনকেই নারায়ণগঞ্জে আটকে রাখা হয়েছিল। কেৌশলে উদ্ধার অভিযানে বিভ্রান্তি ছড়াতেই অপহরনকারীরা গাড়িগুলো অন্যত্র ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

অন্যদিকে এডভোকেট চন্দন সরকারের ড্রাইভার ইব্রাহিমের মৃহদেহ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে একই সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের ভাগিনা সাইদ মৃতদেহটি শনাক্ত করেছেন।

উৎস- যুগান্তর