বুধবার বিকালে স্থানীয় পরাণ, নাহিদ পারভেজ ও রুবেলসহ এলাকার বেশ ক’জন ব্যক্তি ভবনের চারপাশ ঘুরে শো পিলার ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে বাঁশের চটার ব্যবহার দেখে ফেলে। ‘পুকুর চুরির’ এ খবর ক্রমে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা ঢালাইকৃত পিলার হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে ব্যবহৃত আরও বাঁশের চটা বেরিয়ে পড়ে। এরপর দেনদরবারে নামা ঠিকাদার প্রতিনিধি দলটি সটকে পড়ে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে নির্মানাধীন ভবন পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত বিশ্বাস বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গত তিন-চারদিন ‘নির্বাচনি ছুটিতে’ বাইরে ছিলেন বলে এ ব্যাপারে জানেন না কিছুই।
সুব্রত আরও জানান, এই ভবন নির্মাণের কাজ ২০১৫ সালের ১লা ডিসেম্বর শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কাজটি পেয়েছে ঢাকাস্থ জয় ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মনি সিং নামে এক ব্যক্তি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি হিসাবে দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন জেমস নামে অপর একজন।
নির্মাণাধীন এই ভবনের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীদের আরও একজন রবিউল ইসলাম। দায়িত্বে অবহেলার কথা এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে যাবো। যারা এ কাজটি করেছে তারা অনিয়ম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা কামরুন নাহার মিতা জানান, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। বিষয়টি জানার পরে আমি কাজ বন্ধ করতে শো পিলারগুলো ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে অবহিত করেছি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য।
এদিকে এ ঘটনার পর ঢাকা থেকে আসা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল ভবনটি পরিদর্শন করেছেন। ভবনের নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত বিশ্বাসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।