সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

দাদা নাতির গল্প ( ১) : সোনা মিয়া


তখনকার দিনে বিভিন্ন জায়গায় পন্ডিতের আসর বসতো।এক বাড়িতে দাদা নাতি দুজনে ছিল, নাতি বিভিন্ন জায়গায় পন্ডিতের শোলক বলত, আর দাদা এটা কে সারমর্ম বুজাইদিতো। পন্ডিতির জন্য ১০ টাকা পেত, দাদা নাতি ৫ টাকা করে নিতো, নাতি বৌউয়ের কাছে যাই গল্প করতো,আজকে আমি এমন ভাবে পন্ডিতি করছি, কালকে বলতো আমি এমন করছি, তখন নাতি বৌ বুদ্ধি দিলো,তোমার দাদাকে টাকার ভাগ দাও কেন,তুমিই তো পন্ডিতি কর, তখন নাতি ঠিক করলো দাদা কে ভাগ দেবো না। অন্য একদিন দাদা কে না নিয়ে,একা চলে গেল। সেখানে যাওয়ার পরে লোকজন জিজ্ঞাসা করল আজকে কি দিয়ে ভাত খেয়েছেন। তখন নাতি বললো আমাদের উঠোনে ইছা গুড়া মাছ পেয়েছি সেটা আমার বৌ রান্না করেছে খেতে খুব মজা হয়েছে। তখন উৎসুক লোক জিজ্ঞাসা করল উঠানে ইছা মাছ পাওয়া যায় কিভাবে। তখন নাতি আর কিছু বলতে পারেনা। তখন লোকজন নাতিকে, একটা গাছের সাথে বেধে রেখে দাদা কে খবর দিলো।দাদা নাতির কথা শুনে যথা সময়ে হাজির হলো।তখন লোকজন বললো, আপনার নাতি বললো , আপনাদের উঠোনে নাকি ইছা মাছ পাওয়া গিয়াছে। সেটা দিয়ে আপনার নাতি ভাত খেয়েছে, এবং খুব মজা হয়েছে। দাদা বলে হে আমিও খেয়েছি। গত বছর আমি নদীর ঘাটে গেছিলাম, সেখানে বড় বড় ডিম ওয়ালা ইছা মাছ পাইছি, আমি বেশ কিছু মাছ নিয়ে আসলাম, মাছ গুলো কুটে মাছের ময়লা গুলো উঠোনে পেলে দিয়েছে, গত কাল জে ঠাড়া পড়ে কাল বৈশাখের বৃষ্টি হয়েছে, সকালে উঠি দেখি, উঠোনে পানি জমে আছে, এবং চোট চোট ইছা গুড়ো দৌড়াইতেছে।আমরা সবাই চোট ছাকনি দিয়ে মাছ গুলো তুলে নিলাম, আমার ঘরে ও রান্না করছে খুবই ভালো লাগছে খাইতে। তখন সবাই হাত তালি দিয় বললো তুমি তো দাদা। তখন সবাই নাতিকে ছেড়ে দিয়ে ১০ টা টাকা দিয়ে বিদায় করে দিলো।নাতি রাস্তায় দাদার সাথ কোন কথাই বলেন না। বাড়ি এসে বৌকে দিলো পিটা, দাদা দৌড়ে এসে বলে নাতি কি হয়েছে, নাতি বলে দাদা, ও বলেছ তোমাকে না নিত, তাই আমি তোমাকে নি নাই, আর লোকজন আমারে পিছ মোড়া করে বেদে রাখলো তুমি না গেলে তো আমারে আনার লোক ও ছিল না।
## সোনা মিয়া, কবি, ছড়াকার ও গল্পকার।