সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

তোবাকর্মীদের আগস্ট-সেপ্টেম্বরের বেতন দাবি

1410117614

তোবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি তোবা শ্রমিকদের অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতনও দাবি করেছে। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে কারখানাগুলো খুলে দেয়ার দাবিও জানানো হয়। তোবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম কমিটিকে দাবিতে সমর্থন জানিয়ে ১৫টি শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও সমাবেশে উপস্থিত হন।উল্লেখ্য, তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় তোবা গ্রুপের মালিক দেলোয়ার হোসেন কারাগারে থাকা অবস্থায় দেড় হাজার শ্রমিকের বেতন বকেয়া পড়ে। এরপর শ্রমিকরা অনশন শুরু করলে বিজিএমইএ দুই মাসের বেতন পরিশোধ করে। কিন্তু ঈদ বোনাস দেয়া হয়নি এবং কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই শ্রমিকরা কারখানা খোলাসহ সাতটি দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন।তোবা মালিক দেলোয়ার কারখানা খোলার মতো আর্থিক সামর্থ নেই বলে দাবি করে গত ১৮ অগাস্ট তিনি পাঁচটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন, যা ১১ জুন থেকে কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়। এ অবস্থায় শ্রমিকরা আন্দোল অব্যাহত রাখে। আন্দোলন চলাকালন সময়ে, গত ১০ অগাস্ট বিজিএমইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও বিজিএমইএ নেতারা বলেছিলেন, কারখানা বন্ধ হলেও শ্রমিকরা আইন অনুযায়ী সুবিধা পাবে। কিন্তু আইন অনুযায়ী প্রাপ্য কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে শ্রমিকরা জানিয়েছেন।সমাবেশে সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক মোশরেফা মিশু বলেন,“কোনো ধরনের আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১৬০০ শ্রমিক কর্মসংস্থান হারিয়েছে। আমরা এইসব শ্রমিকদের অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দাবি করছি।”একইসাথে আগের ঈদ বোনাস ও আসন্ন কোরবানির ঈদের বোনাসও পরিশোধের দাবি জানান তিনি। পাওনা পরিশোধ করা না হলে সংগ্রাম কমিটি কঠোর আন্দোলনে যাবে বলেও হুশিয়ারি দেন মিশু। সমাবেশের পর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে রওনা হয় সংগ্রাম কমিটি। পুলিশ প্রেসক্লাবের পাশের সড়কে তা আটকে দিলে সেখানে সমাবেশ করে তারা। মোশরেফা মিশু বলেন, “এদেশে কি শ্রম মন্ত্রী আছে? আমরা দেখছি শ্রমিকদের সব কিছু পরিচালনা করছে নৌপরিবহনমন্ত্রী। আমরা নৌ পরিবহনমন্ত্রীর কাছে কেন যাব?”গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, “শ্রমিকদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে শিল্প পরিচালনা করা যাবে না। যত্র দ্রুত সম্ভব শ্রমিকদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠান করতে হবে, নতুবা শ্রমিকরা অধিকার আদায়ে কঠোর আন্দোলনে নামবে।” গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, “এবার সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করা না হলে শ্রমিকরা আর অনশন করবে না। গলায় গামছা দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে টেনে নামানো হবে।”