মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিন্দুতে বাংলাদেশ

bd-and-sa

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দুটিতেই বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। চট্টগ্রাম টেস্টে তবুও দুই দল সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই দিন খেলতে পেরেছে। কিন্তু ঢাকা টেস্টে মাত্র একদিন বল-ব্যাটের লড়াই হয় মুশফিক ও আমলাদের মধ্যে। যার কারণে চট্টগ্রামের পর ঢাকা টেস্টও নিষ্প্রাণ ড্র হয়।এই দুই ড্রয়ের ফলে বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টে ৬ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।

বাংলাদেশের রেটিং ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪৭ হয়েছে। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত সেরা রেটিং এটি। তবে দলগত র‍্যাঙ্কিংয়ে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বাংলাদেশ এখনো নবম স্থানেই আছে।

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ জয় ও পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চারটি টেস্ট ড্র করার ফলে বাংলাদেশের রেটিংয়ে এই উন্নতি। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ানডে রেটিং ও র‍্যাঙ্কিংয়ের উন্নতি অবশ্য চোখে পড়ার মতো। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখন সপ্তম দল। রেটিং পয়েন্টও ৯৬। তবে ওয়ানডে রেটিংয়ের সঙ্গে টেস্ট রেটিংয়ের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। ওয়ানডেতে দলগুলোর পয়েন্ট কেবল ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে। টেস্ট রেটিংয়ে সিরিজের ফলাফল যোগ হয়। গত চার বছরে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ জয় কেবল জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। টেস্ট সিরিজ ড্র করবার নজিরও কেবল চারবার।

টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং এখন ৮১। অর্থাৎ, বাংলাদেশের সঙ্গে রেটিং ব্যবধান ৩৪। এই বিপুল ব্যবধান কমাতে হলে বাংলাদেশকে খুব দ্রুত কিছু টেস্ট জিততে হবে। সামনেই আছে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজ। এ সিরিজেও বাংলাদেশের সামনে আছে রেটিং বাড়িয়ে নেওয়ার বিশাল সুযোগ। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গের সিরিজ ড্র করতে পারলেও বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৫২। সিরিজটি ১-০ ব্যবধানে জিততে পারলে রেটিং পয়েন্ট হবে ৫৬। এবার পরিসংখ্যানের খাতিরে বাংলাদেশকে ২-০ তে বিজয়ী ধরে নিয়ে রেটিং হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের রেটিং দাঁড়াচ্ছে ৫৮! সে তুলনায় বাংলাদেশের হারানোর প্রায় কিছুই নেই এই সিরিজে। সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও বাংলাদেশের রেটিং হবে ৪৬।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন সমীহ জাগানিয়া। তবে টেস্টে এখনো নিজেদের সেরা কারিকুরি দেখানোটা বাকি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্টে নিজেদের ক্ষমতার কিছুটা নমুনা দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও তাই করবে বাংলাদেশ, এটাই সবার প্রত্যাশা।