বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

image_74225_0_81195
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে ৩৩৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে জামায়াতের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত ৭ ধরণের অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।এরআগে মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জামায়াতের সিদ্ধান্তেই একাত্তরে রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি বাহিনী গঠন করা হয়। এর জন্য সংগঠন হিসেবে জামায়াত যুদ্ধাপরাধী সংগঠন। এর ফলে জামায়াতের বিচার করা যাবে।তদন্ত সংস্থা জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর সাতটি ধারায় জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, জেনেভা কনভেনশন ভঙ্গ, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অপরাধ এবং এ ধরনের অপরাধে সহযোগিতা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। জামায়াতের পাশাপাশি একাত্তরে দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ, শান্তি কমিটি (লিয়াজোঁ), রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী (অপারেশনস) এবং জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার (প্রপাগান্ডা) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।গত বছরের ১৮ আগস্ট থেকে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করা হয়৷ তদন্তে জামায়াতকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় তদন্ত সংস্থা। জামায়াতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা – এই চারটি অপরাধ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে৷ এছাড়া ওই সময় জামায়াতকর্মীদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধে জামায়াতের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করা হয়৷ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত বলেন, প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হবে৷ ট্রাইব্যুনাল শুনানি করে সন্তুষ্ট হলে অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করা হবে৷ জামায়াত দোষী প্রমাণিত হলে দলটি নিষিদ্ধ হতে পারে৷ দলের সব ধরনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হতে পারে৷গত বছরের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট৷ তবে জামায়াত এখনও নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। এর আগে তিনবার নিষিদ্ধ হয়েছিল জামায়াতে ইসলামী৷ ১৯৫৯ এবং ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয় জামায়াত৷ এরপর বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয় ১৯৭২ সালে৷