রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

জাপানের পর চীন ও আমিরাত যাবেন প্রধানমন্ত্রী

untitled-34_84005
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মে জাপানে যাচ্ছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর এটিই তাঁর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জাপান থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন ২৮ মে। এরপর তিনি চীন ও আরব আমিরাত যাবেন। দেশ দুটির সরকার তাঁকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছে।জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরের পর চীনে যাবেন। এর সময়সূচি নির্ধারিত হয়েছে ৬ থেকে ১১ জুন। এর মধ্যে ৬ ও ৭ জুন তিনি ইউনান প্রদেশে থাকবেন। সেখানে কুনমিংয়ে ‘দ্বিতীয় চীন-দক্ষিণ এশিয়া’ প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন তিনি। উল্লেখ্য, গত মার্চে ইউনান প্রদেশের গভর্নর লি ঝিহেং ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রীকে ওই প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকার জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ৮ জুন শেখ হাসিনা কুনমিং থেকে বেইজিংয়ে যাবেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হবে তাঁর দ্বিপক্ষীয় সফরের আনুষ্ঠানিকতা। ৯ ও ১০ জুন তিনি চীনের শীর্ষ নেতার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ১১ জুন তাঁর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম শেখ হাসিনাকে সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার বিষয়ে আরব আমিরাতের দিক থেকে প্রত্যাশা থাকলেও জাপান ও চীন ঘুরে আসার কয়েক দিন পর ওই সফরের তারিখ নির্ধারণে দুই দেশ কাজ করছে।আগামী ১৪ ও ১৫ জুন বলিভিয়ার সান্তা ক্রুজ শহরে ‘জি ৭৭ প্লাস চায়না’ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আগামী মাসেই দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকায় আসছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহেন্দা রাজাপাকসে এ বছরই ঢাকায় আসতে পারেন। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ সম্মেলন এবং নভেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া ভারতে এ মাসে নতুন সরকার গঠনের পর সফর বিনিময় বিষয়েও আলোচনা শুরু হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের বিষয়েও কথা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা এবার সরকার গঠনের পর বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে গত মার্চ মাসে মিয়ানমার সফর করেন। এবার দ্বিপক্ষীয় সফরে জাপান ও চীনের মতো উন্নয়ন সহযোগী দেশে যাওয়াকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকার সাফল্যের সঙ্গে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। দীর্ঘ আট বছর পর গত মার্চ মাসে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা ঢাকা সফর করেন।