রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় মানুষের ঢল

images_63904
শুক্রবার ছুটির দিনে ক্রেতা আর দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। মেলার ছিল অগনিত নারী পুরুষ শিশু আর মহিলার ভীড়ে তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। জুম্মার নামাজের পর বিকেল শুরু হতে বাণিজ্য মেলায় জনস্রোত বাড়তে থাকে। টিকিট কাউন্টারের সামনে ছিল দীর্ঘ লাইন। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ভিড় ঠেলে টিকিট সংগ্রহ করতে অনেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আর ভিড় সামলাতে গেট ইজারাদার ও নিরাপত্তাকর্মীদের হিমশিম খেতে হয়েছে।পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় ঢুকে পছন্দের পণ্য কেনাকাটা করতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে। বেচাকেনা ভালো হওয়ায় বিক্রেতাদের সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে। শেষ সময়ে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেচাকেনা বেশি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।মেলায় ৪৭১টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল অংশ নিয়েছে। এসব প্যাভিলিয়ন আর স্টলের টানেই মেলায় এত লোকসমাগম। বিদেশি পণ্যের খোঁজে যেমন ছুটেছেন ক্রেতারা, তেমনি দেশি পণ্য কেনাকাটায় আগ্রহের শেষ নেই। ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশি পণ্যের মান আগের চেয়ে ভালো হওয়ায় বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যমেলায় একসঙ্গে সব ধরনের পণ্য বিক্রি করায় যাচাই করে কিনছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার স্টলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় যেমন ছিল, তেমনি বেড়েছে বেচাকেনা। অ্যালুমিনিয়ামের গৃহস্থালী পণ্য কেনার জন্য লোকজনের ভিড়ে দিল্লি ও কিয়ামের প্যাভিলিয়নের ভেতরে ঢোকাই প্রবেশ করা ছিল কঠিন। লোকজন দেশি-বিদেশি স্টলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ইমিটেশনের গয়না, কসমেটিকস, ব্যাগ ও উপহার পণ্য কিনছেন ভিড় ঠেলে। তরুণী ও নারীরাই মূলত এসব স্টলে কেনাকাটা করেছেন।এ ছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতাদের হাতে দেখা গেছে প্লাস্টিক পণ্যের সম্ভার। আবার কাঠ ও প্লাইউডের আসবাবপত্রের স্টলগুলোও ছিল ক্রেতা-দর্শনার্থীর আগ্রহের কেন্দ্রে। মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ায় ক্রেতারা আকৃষ্ট হচ্ছেন।ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন কোম্পানি কুপন ছেড়েছে। পুরস্কারের আশায় কুপন নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলছেন ক্রেতারা।
বিদেশি প্যাভিলিয়নগুলোর প্রতি দর্শনার্থীদের আগ্রহ চিল চোখে পড়ার মতা। থাইল্যান্ড-তুরস্ক কিংবা মালয়েশিয়ার ছোট আকারের প্যাভিলিয়নগুলোতে চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা গেছে। সে অনুযায়ী পাকিস্তানি প্যাভিলিয়নের স্টলগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল কম। মেলায় বিভিন্ন পণ্যের স্টলের চেয়ে খাবারের দোকানগুলোতে কোনো অংশেই ভিড় কম ছিল না। মেলা খোলা থাকবে রাত দশটা পর্যন্ত।
উৎস- যুগান্তর